ব্রেকিং:
কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক
  • বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

বিবাহের সঠিক পদ্ধতি

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

ইসলামে বিবাহ মানে একটি বন্ধনের নাম। এটি হলো সামাজিক চুক্তির নাম। বিবাহের মাধ্যমে ইসলাম মুসলিম নারীদের তাদের জীবন-যাপনের প্রতিটি বিষয়ে একটি ইন্সুরেন্স দিয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটা বিধান হচ্ছে বিবাহ। এর পদ্ধতি ইসলাম সহজ করেছে। এর পদ্ধতি হচ্ছে মেয়ের পরিবার প্রস্তাব দেবে ছেলের পরিবার সেটায় সায় দেবে। এরপর সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে বিবাহ হবে।

যেহেতু পুরো জীবন নির্ভর করছে তাই বিয়েতে লুকোচুরি থাকবে না। তাই দুই পরিবারের সঙ্গে অন্যদেরও রাখতে হবে। কিংবা ঘোষণা দিতে পারে। এ ছাড়া পাত্রীর অভিমত নিতে হবে। এরপর বিয়ের চুক্তির সঙ্গে তাকে একটা সম্মানী দিতে হবে। সেই সম্মানী নামই হলো মোহরানা। এই সম্মানীর একমাত্র মালিকানা ওই নারীরই থাকবে। এরই মাধ্যমে ইসলাম অনুযায়ী বিবাহ হয়।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিসে বিয়ের প্রতি উৎসাহ ও তাকিদ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু আইয়ুব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘চারটি জিনিস নবীদের চিরাচরিত সুন্নত। ১. লজ্জা-শরম, ২. সুগন্ধি ব্যবহার করা, ৩. মেসওয়াক করা এবং ৪. বিয়ে করা।’ -সুনানে তিরমিজি: ১০১৮

বিয়ে কাকে করবেন এ সম্পর্কেও নবী করিম (সা.) নির্দেশনা দিয়েছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘চারটি কারণ বিবেচনা করে কোনো নারীকে বিয়ে করা হয়। ১. ধন-সম্পদ, ২. বংশমর্যাদা, ৩. সৌন্দর্য ও ৪. দ্বীনি চেতনা। অতএব, দ্বীনি চেতনাকে অগ্রাধিকার দাও, তোমার হাত কল্যাণে পূর্ণ হয়ে যাবে।’

বিয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দেনমোহর। মোহরের পরিমাণ স্বামীর অবস্থানুযায়ী বেশি বা কম হতে পারে। উভয়পক্ষ একমত হয়ে এ ব্যাপারে যা নির্ধারণ করবে তাই ধার্য হবে। হজরত আবুল আজফা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেছেন, ‘সাবধান! তোমরা নারীদের মোহর উচ্চহারে বৃদ্ধি করবে না। কেননা, তা যদি দুনিয়াতে সম্মানের বস্তু অথবা আল্লাহর কাছে তাকওয়ার বস্তু হতো তবে তোমাদের চেয়ে আল্লাহর নবী এ ব্যাপারে বেশি উদ্যোগী হতেন। কিন্তু হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বারো উকিয়ার বেশি মোহরে তার কোনো স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন অথবা কোনো কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই।’ -সুনানে তিরমিজি: ১০৫১

বর্ণিত হাদিস থেকে বুঝা যায়, মোহরের পরিমাণ একেবারে সামান্য হওয়া যেমন ঠিক নয়, যদিও তাতে বিয়ে হয়ে যাবে। তেমনি খুব বেশি আকাশচুম্বী পরিমাণও যথার্থ নয়, বিশেষ করে তা আদায়ের কোনো বাধ্যবাধকতা যদি না থাকে। বরং তা আদায়ের নিয়ত না থাকলে তো বিয়েই বৈধ হবে না।