ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বুলেট ট্রেনে ৫৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ডিসেম্বরে নকশার অনুমোদন

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২০  

রেলপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে সময় লাগে ছয় ঘণ্টা। তবে বুলেট ট্রেন চালু হলে মাত্র ৫৪ থেকে ৫৫ মিনিটে রাজধানী থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছা যাবে। আর সরকারের গৃহীত এ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের নকশার চূড়ান্ত অনুমোদন ডিসেম্বরে হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী সুবক্তগীন।

রেলের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বুলেট ট্রেনের প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন চায়না রেলওয়ে ডিজাইন কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা। ডিসেম্বরে তারা বাংলাদেশে আসবেন। এরপর ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেকে যাবে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে।

২০১৭ সালের ১৮ মার্চ বুলেট ট্রেনের প্রকল্পটির সমীক্ষার অনুমোদন করা হয়। একই বছরের ৩১ মে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়। সম্প্রতি সমীক্ষাটি শেষ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন চালু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রস্তাবিত দ্রুতগতির রেলপথটি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মধ্য দিয়ে যাবে। ঢাকা থেকে কুমিল্লা বা লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত হাইস্পিড ট্রেন লাইন নির্মাণ করা হলে এ পথে যাতায়াতে এক ঘণ্টারও কম সময় লাগবে। রেলপথটি কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত করা হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাতায়াতও সহজ হবে।

প্রকল্পটির সমীক্ষায় অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১০০ কোটি ৬৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। তবে ডলারের দাম ও পরামর্শক খাতে ব্যয় বাড়ার কারণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ ডিজাইন প্রকল্প পিছিয়ে যায়।

সমীক্ষা প্রকল্প শেষে পরবর্তী মূল প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলে কয়েক বছরের মধ্যে বুলেট ট্রেনে ভ্রমণ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১৭ সালে সমীক্ষা প্রকল্পে পরামর্শক সেবা বাবদ মোট ব্যয় ছিল ৯৭ কোটি ৪১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তখন বৈদেশিক মুদ্রায় অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হার ধরা হয়েছিল ১ মার্কিন ডলার সমান ৭৮ টাকা ৪০ পয়সা। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ১ মার্কিন ডলার ৮৩ টাকা ৮৫ পয়সা খরচ করে কিনতে হয়েছে। ফলে এই খাতে অতিরিক্ত ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি পায়। সার্বিকভাবে সমীক্ষা প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, এই টাকা সমন্বয় করতে প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক মাস বাড়ে।

যৌথভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও নকশার কাজ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, চায়না রেলওয়ে ডিজাইন কর্পোরেশন (চীন) ও মজুমদার এন্টারপ্রাইজ (বাংলাদেশ)।

প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন অবকাঠামোর বিশদ ডিজাইন প্রণয়ন, দরপত্র দলিলাদি প্রস্তুতকরণ, নতুন রেললাইন পরিচালন প্রক্রিয়া নির্ধারণ, প্রাথমিক পরিবেশ পরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি, প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং, ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন পরিকল্পনাও চলমান। প্রকল্পটির নকশা তৈরির কাজও জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটের রেলপথের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। তবে উচ্চগতির রেলপথটি আগের রেলপথের চেয়ে প্রায় ৯৪ কিলোমিটার কম হবে। এক্ষেত্রে উচ্চগতির রেলপথ দাঁড়াবে ২২৭ কিলোমিটার।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বুলেট ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। আর দিনে ট্রেনটি ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এজন্য প্রত্যেক যাত্রীকে দুই হাজার টাকার মতো ভাড়া গুনতে হবে।