ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

বুড়িচং এর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে দূর্ভোগ চরমে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সঙ্গে সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্ত ও খানা খন্দে ভরা। একটু বৃষ্টি হলে সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হওয়া গর্তে পানি জমে পুকুরের আকার ধারণ করে এতে যাত্রী বাহী যানবাহন পড়ে gগিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়। চারটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে এলাকার অন্যান্য উপজেলার জন সাধারণ আসে। ছোট বড় গর্ত ও খানা খন্দে সৃষ্টি হয়ে সড়কের মারাত্মক বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক গুলো দিয়ে হাজার হাজার লোকজন উপজেলা সহ জেলা গ্রামগঞ্জে চলাচল করতে হয় চরম ঝুঁকি নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক বেহাল অবস্হায় পড়ে থাকায় তা আরও করুন দশায় পরিনত হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা ৯ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এসমস্ত ইউনিয়নের লোকজন নিত্য প্রয়োজনে বুড়িচং উপজেলারয় আসতে হয়। এ ছাড়া পার্শবর্তি উপজেলা বিভিন্না থেকে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ চারটি সড়ক রয়েছে। সড়ক সমূহ হলো বুড়িচং – গোবিন্দ পুর – রামপুর পোস্ট অফিস, বুড়িচং উপজেলা – বাকশীমুল – কালিকাপুর সড়ক,বুড়িচং উপজেলা – রাজাপুর – শংকুচাইল সড়ক,বুড়িচং তুলাগাছের নীচ – জগতপুর- সাদকপুর – কংশনগর সড়ক। উল্লেখিত সড়ক সমূহের এমন করুন পরিনতি হয়েছে যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস যোগ্য হবে। প্রতিটি সড়ক ৩-৫ কিঃ মিঃ পর্যন্ত অথচ সড়ক রক্ষনা বেক্ষনার অভাবে বা সড়ক নির্মাণে অনিয়ম করায় অল্প সময় নষ্ট হয়ে যাচ্চে এলাকাবাসীর অভিযোগ। দেখা গেছে বুড়িচং উপজেলা সদর থেকে পরিষদ ঘেঁষে বাকশীমুল – কালিকা পুর বাজার পর্যন্ত সড়কের ৪ কিঃ মিঃ জুড়ে খানা খন্দে – ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই সৃষ্টি গর্ত সমূহে যাত্রী বাহী সিএনজি, অটোরিকশা ও অন্যান্য যান গর্তে পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়। এদিকে উপজেলা সদরে রয়েছে সরকারি অফিস আদালত ব্যাংক – বীমা,স্কুল – কলেজ, সরকারি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন দপ্তর। জরুরী নিত্য প্রয়োজনে উপজেলায় আসতে হয় এবং ফেরত যেতে হয়।স্কুল – কলেজের ছাত্র ছাত্রী, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী এ সমস্ত সড়ক দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে করে চরম ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্য স্হলে আসা যাওয়া করতে হয়। সড়কের গর্ত সমূহে বৃষ্টি পানি জমে গিয়ে ছোট বড় পুকুরের আকার ধারণ করে থাকে। যান বাহন গুলো সড়ক দিয়ে চলার সময় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে হেলে ধুলে চলে । আবদুল হক বাবুল জানান এই সড়ক গুলো দিয়ে সুস্যু লোকজন চলাচল করে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং আরও অসুস্থ লোক জন এ সড়কে চলাচল করে অনেক বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর হৃদ রোগীরা এসড়কে চলাচল মারাত্মক ঝুঁকি পূর্ণ। এ সড়কের সিএনজি চালক খোরশেদ, আবুল মিয়া সহ আরও কয়েক জন বলেন সড়কে সৃষ্টি হওয়া খানা খন্দ ও গর্ত সমূহের কারনে যানবাহন চলাচলে ব্যপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। প্রতিদিন সড়কে ছোট খাট দূর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন ই সড়কে দূর্ঘটনায় আহতদের কে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এছাড়া আমাদের যান বাহনকে প্রতিদিন ওয়াক শাপে নিয়ে মেরামত করতে হয়। সারা দিন যান বাহন চালিয়ে গিয়ে রাতে প্যারাসিটামল বা নাপা কিংবা এর উচ্চ পাওয়ার ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে হয়।

তাছাড়া বুড়িচং – গোবিন্দ পুর – রামপুর পোস্ট অফিস সড়কটি দুই বছর পূর্বে সংস্কার হওয়া সড়কটি গোমতী নদীর বালু ড্রাম ট্টাক যোগে আনা নেওয়ার ফলে নির্মিত সরক একে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এ সড়ক সহ অন্যান্য সড়ক গুলো দিয়ে যান বাহন চলাচলের একে বার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি বাদল হলে রাম পুর সড়কটি দিয়ে যান বাহন চলাচল পুরো পুরি বন্ধ থাকে।

রাজাপুর গ্রামের সাইফুল চৌধুরী, রাসেল চৌধুরী সহ অনেকে জানিয়েছেন যে সড়ক গুলোর অবস্হা এমন হয়েছে যে কোন গর্ভবতী মহিলা কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার মত সাহস কেউ করছে না। কোন জখমী বা অসুস্থ হয়ে পড়ে যাবে।

রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মোস্তফা, বাকশীমুল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল করিম, পীর যাত্রা পুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন জাহের ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন গত৩ বছর পূর্বে হতে এই সড়ক গুলোর একে বারে বেহাল দশা। জন সাধারন চলাচলে মারাত্মক ব্যঘাত ঘটেছে। সড়ক একদম নাজুক অবস্থায় পরিনত হয়েছে। এনিয়ে উপজেলার আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভায় অভিযোগ করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উপজেলা প্রকৌশলী বলেছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কার করে দিবেন।
অন্যদিকে এলাকা বাসী আরো জানিয়েছেন যে প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কের অবস্হা খুবই খারাপ অবস্হা। মানুষ অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রাজাপুর ইউনিয়ন এর বারেশ্বর – লড়িবাগ – পাঁচওরা সড়ক,সহ সীমান্তের সড়ক সমূহ, বাকশীমুল ইউনিয়নের সীমান্ত সহ গ্রামীণ সড়ক, ষোলনল ইউনিয়ন এর মহিষ মারা- নানুয়ার বাজার সড়ক,ভরাসার- ষোলনল- বাবুর বাজার( ক্রিমিনালের বাজার), শিকাপুর- নানুয়ার বাজার,ময়নামতি ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামীন সড়ক,ভারেল্লা উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামীন সড়ক, মোকাম ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামীন সড়ক গুলো অবস্থা খুবই করুন অবস্হা। এগুলো তাড়াতাড়ি সংস্কার বা নির্মাণ না করা হলে সড়ক সমূহ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যপারে বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী জিহাদ আল তুহিন বলেন এসড়ক গুলোর বিষয় আমাদের নিকট অভিযোগ আছে। সড়ক গুলোর বিষয় অনুমোদন এর জন্য উপরে পাঠিয়েছি। আশা করি আমরা অল্প সময়ের মধ্য সড়ক সংস্কার বা নির্মাণ এর কাজ শুরু করা হবে। এ দূর অবস্হা বেশী দিন থাকবে না।