ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বুড়িচংয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন সড়কের কালভার্টে চরম দুর্ভোগ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ব্রিজও কাল ভাটের ডালাই এবং খোয়া খসে পড়ে গিয়ে যান বাহন, জনসাধারণের চলাচলের সর্ম্পূন অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

বুড়িচং উপজেলার সদরের সঙ্গে সংযোগ সড়ক বুড়িচং - রাজা পুর- শংকুচাইল সড়কের রাজাপুর রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশের ব্রীজটি দীর্ঘ প্রায় ৫ বছরের অধীক সময় ধরে খোয়া ধীরে ধীরে খসে পড়ে এখন ভয়ংকর রূপধারণ করেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে যে জেলার বুড়িচং উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ সড়ক বুড়িচং - রাজাপুর - শংকুচাইল সড়ক এর রাজাপুর রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশের ব্রীজটির উপর দিয়ে প্রতি দিন হাজার হাজার যাত্রী ও জন সাধারণ সিএনজি সহ বিভিন্ন যান বাহনে করে চলাচল করে। শংকুচাইল ও তার পাশের ৮-৯ গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে যেতে হয় নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে। উপজেলা সদরে রয়েছে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, সরকারি বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তর। তেমনি শংকুচাইল বাজারে রয়েছে স্কুল, কলেজ, ব্যাংক ও দৈনন্দিন বিভিন্ন চাহিদার জন্য যেতে হয়। এই ব্রীজটি দিয়ে প্রতি দিন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী ছাড়া ও হাজার হাজার জনসাধারণ বিভিন্ন যানবাহনে করে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

রাজাপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন, জহির, আব্দুল সালাম সহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন ৫ বছরের বেশী সময় হবে এ ব্রীজ ভংগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে। ব্রীজের করুন অবস্থা দেখে স্ট্রীলের পাটাতন ফেলে দিয়েছে , এর উপর দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।তারা আরো বলেন ব্রীজের মাজ খান থেকে ধীরে ধীরে খোয়া খসে পড়ে এখন বড় ধরনের একটি মরন ফাঁদে দাড়িয়েছে। প্রতিদিন ব্রীজের উপর কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

অপর দিকে একই ইউনিয়নের পাচঁওরা - লড়িবাগ - বারেশ্বর সড়কের রেললাইন এর পূর্ব পাশের কাল ভাটটির একই অবস্থা। এসড়কের কাল ভাটটির খোয়া খসে পড়ে গিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যঘাত ঘটাচ্ছে।

অপর দিকে উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন এর কোরপাই - মিথলমা - আবিদপুর সড়কের ব্যস্ততম সড়কটির মিথলমা গ্রামের খালের উপর ব্রীজটি ও ভয়ংকর অবস্থা ধারন করেছে। ৪-৫বছর ধরে এ ব্রীজটির খোয়া খসে পড়তে পড়তে গিয়ে আজ যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ সড়ক ব্রীজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবিদপুর এলাকায় রয়েছে স্কুল- কলেজ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন স্হাপনা। অপর দিকে নিমসার হল দেশের সর্ববৃহৎ সবজির বেচা কেনার এবং পাইকারি বাজার। আশেপাশের ১৫-২০ গ্রামের ও অন্যান্য ৪-৫উপজেলা সহ জেলা থেকে সবজি ও নানাহ মালামাল বিভিন্ন পরিবহনে করে বাজার জাত করে। কিন্তু এ ব্রীজ এর কারনে শিক্ষার্থী, কৃষক ব্যবসায়ীদের চরম ব্যঘাত ও দুর্ভোগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির, মোবারক হোসেন, কালা জাকির হোসেন সহ অনেকে জানিয়েছেন যে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকল্পে বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হচ্চে না। দিনের পর এব্রীজ দিয়ে ছাত্র ছাত্রী এবং মানুষ জীবন মরন হাতে দিনে রাতে চলাচল করতে হচ্চে।

এদিকে রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন যে, উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ব্রীজ হল রাজাপুর। কারন রেল সহ বিভিন্ন যানবাহনের হাজার হাজার যাত্রী এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। ব্রীজটির চরম দূর অবস্হার কথা আমি উপজেলার প্রতিটি মিটিংয়ে তুলে ধরি। প্রশাসন ও উপজেলা প্রকৌশলী অল্প সময়ের মধ্যে ব্রীজ নির্মান করে দিবেন বলে শান্তনা দেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আদতে কোন কাজ হচ্চে না। মানুষ যান বাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

এ ব্যপারে বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী জিহাদ আল তুহিন বলেন এই ব্রীজ ও কাল ভাট সমূহের বিষয় আমার জানা আছে। রাজাপুর রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশের ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো আছে। এটি সর্ম্পূণ নতুন করে তৈরী করা হবে। আবিদপুর মিথলমার ব্রীজটির রড় ও মালামাল ঠিক আছে। তাই খসে পড়া স্হানে ডালাই দিয়ে সংস্কার করা হবে। এর পর আমরা সড়ক ও ব্রীজের গুরুত্ব অনুযায়ী ধীরে ধীরে সমস্ত কাজ করবো। কোন কাজ ফেলে রাখবনা।