বৃহস্পতিবার স্কুল পরিচ্ছন্ন করবে শিক্ষার্থীরাই
কুমিল্লার ধ্বনি
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০১৯
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ‘প্রতি বৃহস্পতিবার স্কুলে সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম’বিষয়ক নির্দেশনা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা মন্তব্যগুলোতে শিক্ষা ও কর্ম সম্পর্কে আমাদের সমাজের একশ্রেণির মানুষের কুৎসিত দৃষ্টিভঙ্গির যে প্রকাশ ঘটেছে, তা এককথায় ভয়ংকর। দেশে শিক্ষার অর্থ দাঁড়িয়েছে স্রেফ সার্টিফিকেট অর্জন; জীবনে দক্ষতা অর্জন নয়, শ্রমের মর্যাদা নয়, মানবিকতার জাগরণ নয়।
আমাদের শিশুদের ঘাড়ে বইয়ের বোঝা, কোচিংয়ের তাড়না। বিদেশে শিশুরা শেখে কর্মদক্ষতা, বইয়ের বোঝা তাদের ঘাড়ে নেই বললেই হয়। প্রতিদিনের জীবন থেকে তারা আগামী দিনের জীবনের দক্ষতা রপ্ত করে, যা তাদের সারা জীবন কাজে লাগে। শেখে শ্রমের মর্যাদা, অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। নিজের কাজ নিজেই করতে হয়। চাকরবাকর সেখানে মেলে না। তাই রাজপুত্র বা ধনীর দুলাল, সবাইকে কাজ করতে শিখতে হয়। ব্রিটিশ রাজপুত্রকেও যেতে হয় যুদ্ধক্ষেত্রে, একজন সাধারণ সৈনিকের মতোই তাঁকে মোকাবিলা করতে হয় ময়দানের বাস্তবতা।
আমাদের ছোটবেলায় প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ছিল অনেক আনন্দের। সেদিন মাত্র দুটো পিরিয়ড হতো, তারপর নানা কাজে
লেগে যেতাম আমরা। শ্রেণিকক্ষ, স্কুলের মাঠ পরিষ্কার করা ছিল আমাদের নিয়মিত সাপ্তাহিক কাজের অংশ। তার আগে হতো কবিতা আবৃত্তি, গান, বিতর্ক, অভিনয় ইত্যাদি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলা। মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ পরিচ্ছন্ন করতে একেকজনকে বড়জোর ২০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করতে হতো। তাতে যে ক্যাম্পাস আমরা নিজেরা তৈরি করতাম, তা হয়ে উঠত একান্ত আপন। তাতে আমাদের বাবা-মা/অভিভাবক কোনো দিন আপত্তি করেননি; বরং খুশি হতেন। স্কুল ছিল জীবনে দক্ষতা অর্জনের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান।
জাপানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের স্কুল প্রাঙ্গণ নিজেরাই পরিষ্কার রাখে। অনেক স্কুলে আলাদা করে কোনো কর্মী নেই পরিষ্কারের কাজ করার জন্য। থাকেও যদি, তারা প্রধানত সেই কাজগুলোই করে, যেগুলো সাধারণত শিক্ষার্থীরা করতে সমর্থ নয়।
জাপানে এই ‘পরিচ্ছন্নতা অভিযান ঘণ্টা’ সরকারের পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক নয়, কিন্তু প্রায় প্রতিটি স্কুলই এটা তাদের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে। কিন্তু কেন? জাপানের শিক্ষকেরা বলেন, শিক্ষার্থীরা এটা তাদের সিলেবাসের অংশ হিসেবে করবে না। করবে তাদের দায়িত্ববোধ থেকে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে জাপানি শিক্ষার্থীরা ধুলো ঝাড়ামোছা, সিঁড়ি, দরজা, জানালা ও মেঝে পরিষ্কার করে। অতি অল্প বয়সী শিক্ষার্থীদের টয়লেট পরিষ্কারে অংশ নিতে হয় না। যে শিশু নিজের শিক্ষালয়কে সুন্দর রাখতে আনন্দ পায় না, সে বড় দুর্ভাগা! কথাটি এই নব্য ধনী বা তথাকথিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি কীভাবে বুঝবে?
খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এরা কেউ হয়তো নদী দখল করে আছে, কেউ সরকারি বা অন্যের জমি। কেউ টেন্ডারবাজি করে, কেউ আদম পাচারে যুক্ত। কেউ ঘুষখোর, কেউ ব্যাংক লুটের সঙ্গে যুক্ত। এই রুচিহীন ও নিষ্কর্মার দলই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উগরে দিয়েছে।
গলদ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষাকাঠামোর গভীরে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মনুষ্যত্বের জাগরণ ঘটায় না, বরং শিশুকে করে তোলে অহংকারী। ‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’ বলে সেই ঔপনিবেশিক মানসিকতা তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যাসাগরের গোপাল সুশীল বালক, সে চায় সমাজে বজায় থাকুক ‘স্থিতাবস্থা’। সমাজবিপ্লবে তাদের ভয়ের কারণ আমরা বুঝি। কিন্তু বিদ্যাসাগরও চেয়েছিলেন পড়ুয়ারা কঠোর পরিশ্রমী হবে, শিখবে শ্রমের মর্যাদা। নিজেও কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন তিনি।
আমাদের নব্য বাঙালি শ্রেণির আপত্তি সেখানেই। মধ্যবিত্ত ক্ষমতার ভড়ং দেখাতে গ্রামীণ বা ছোট শহরের সামাজিক কাঠামোয় নিজেকে ভাবে মহাপরাক্রমশালী। তার ক্ষমতার দম্ভ আহত হয়, যখন সে শোনে তার মহা আদরের সন্তানকে স্কুলঘর, স্কুল প্রাঙ্গণ সাফসুতরো করার জন্য উপদেশ দেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী। তারা ভেবে পায় না, তাদের আদরের ছেলেমেয়ে এই ‘নোংরা’ কাজ কেন করবে? এসব করবে সমাজের ‘নীচু জাতের’ লোকেরা এবং তারা সরল সমীকরণ দাঁড় করায়, শিক্ষকেরা এ ব্যবস্থায় কাজে ফাঁকি দেওয়ার নতুন মওকা পাবেন!
একটি শিশু ছোটখাটো কাজ করতে অভ্যস্ত হবে, ছোটবেলা থেকেই সে শিখবে কোনো কাজে লজ্জা নেই, আছে তৃপ্তির গৌরব। সেটি হচ্ছে না বলেই আমাদের ডিগ্রিসর্বস্ব লেখাপড়া বছর বছর লাখ লাখ ‘বাবু’ তৈরি করছে, কিন্তু দক্ষ কর্মী তৈরি করছে না।
তাই প্রাথমিক স্তর থেকেই বইনির্ভর ‘বাবু’ তৈরি না করে কাজকে সম্মান করতে শেখা এবং সত্যিকারের কর্মী করে গড়ে তোলার দিকে নজর দিতে হবে। ভেঙে ফেলতে হবে শিক্ষার এই অচল কাঠামোকে।
- জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যু
- একক প্রার্থী দিতে সমঝোতা বৈঠক, আলোচনায় ৩ কোটি টাকা
- ফেনীতে ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ২২ বছর পর গ্রেপ্তার
- ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৭
- ভাসানচরে বাগানে পড়েছিল রোহিঙ্গার রক্তাক্ত লাশ
- সরাইলে মাটিকাটা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০, আটক ২০
- এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ভাসছিল শিশুর মরদেহ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় রিকশার যাত্রী নিহত
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯ উপজেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
- হাজীগঞ্জে প্রতিবন্ধীর বাগানের বিভিন্ন ফল ফলাদি গাছ কর্তনের অভিযোগ
- রেমিট্যান্স উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
- চাঁদপুরে পূবালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তা বদলি
- সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনেও সংস্কৃতির পূর্নজাগরত প্রয়োজন ডা.দীপুমনি
- ইরানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
- মতলব উত্তরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণ
- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী
- মুরাদনগরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
- দাউদকান্দিতে নির্দেশনা অমান্য করে ওষুধের দোকান খোলা
- সিএনজি ভাড়া তিন গুণ ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের নির্বাচন করতে মানা-প্রধানমন্ত্রী
- বরুড়ায় পানিতে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
- অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে সেবা দিতে পারবেন না নিবন্ধিত চিকিৎসকরা
- লালমাইয়ে যুবকের আত্মহত্যা
- ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির
- গণমানুষের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য
- ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ফেসবুকে লাইভ করায় চাকরি হারালেন এসপি
- মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না
- ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির
- ফলের আড়তের লকার ভেঙে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লুট
- ফেনীতে ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ২২ বছর পর গ্রেপ্তার
- কালোবাজারে ট্রেনের ৮৫ টাকার টিকিট ৫০০ টাকা
- লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
- ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আয়োজিত হল কিচ্ছার আসর
- দাউদকান্দিতে বিধিবহির্ভূতভাবে চালানো ওষুধের দোকান ১১ বছর পর বন্ধ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ২০
- ইরানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
- মতলবে সালিশ বৈঠকে সাবেক মেম্বারকে ঘুষি দিয়ে হত্যা
- ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ
- মতলবে দম্পতির মনোনয়নপত্র দাখিল, স্বামীর বিরুদ্ধে যা বললেন স্ত্রী
- কুমিল্লায় অস্ত্র-কার্তুজসহ যুবক গ্রেফতার
- ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচনে ১২ জনের মনোনয়নপত্র জমা
- ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৭
- চাঁদপুরে ব্যাভিচারের মামলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড
- তিতাসে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি
- চান্দিনা বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ছাই