বেলঁচো বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে সরগম প্রার্থীরা

প্রায় দেড় যুগ পর হাজীগঞ্জের বেলঁচো বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন জমে উঠেছে। শেষ সময়ে ব্যানার, পোষ্টারে চেয়ে গেছে পুরো বাজার। সেই সাথে ভোটার ও প্রার্থীদের মাঝে দেখা যায় মিলন মেলা।

সরেজমিনে জানা যায়, ১৭ বছর আগে বেলঁচো বাজার ব্যবসায়ীদের সংগঠন থাকলেও নানা কারনে আর কমিটি হয়নি। আসছে ২১ নভেম্বর শনিবার ১০ টি পদে প্রায় ৩শ ভোটার তাদের প্রচন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নেতৃত্বে আনবেন। 

শেষ সময়ের সমীকরণ দেখা যায়, সভাপতি পদে মা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী অহিদুল ইসলাম চৌধুরী মহন সাইকেল মার্কা আলোচনায় রয়েছে। অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তুলনায় তিনি বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বচ্ছ মাস্টার্স পাশ। তিনি পোষ্টার না করে ব্যতিক্রমী প্রচারনা চালিয়ে যাওয়ায় সবাই হতভাগ। তিনি চাচ্ছেন অযথা খরচ না করে পোষ্টারে ১৫ হাজার টাকা সমিতির ফান্ডে জমা দিবেন। তাছাড়া বেলঁচো বাজারকে সিসি ক্যামরার আওতায় এনে আমদানী রপ্তানির মাধ্যমস্থলে পরিনত করা। এসব মুক্ত চিন্তা ধারার কারনে ভোটারদের মূখে মূখে শুনা যায় এই প্রার্থীর নাম।

এদিকে সহ-সভাপতি পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন বটগাছ মার্কার প্রার্থী খোরশেদ মল্লিক।  বড় মাপের সেন্টারিং ব্যবসায়ীর কারনে বাজারের উন্নয়নমূলক কাজে তার অবদান থাকবে বলে ভোটারদের বিশ্বাস।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে সাধারন সম্পাদক। এই পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আলোচনায় উঠে আসে ছাতা প্রতীকের প্রার্থী আবু সুফিয়ানের নাম। তিনিও শিক্ষাদিক্ষা কর্মদক্ষতা এগিয়ে আছেন।

অন্যান্য পদের প্রার্থীরাও এখন শেষ সময়ে এসে প্রচার প্রচারনা তুঙ্গে আছেন।

ভোটার আবুল ফারহা, হানিফ মিয়া ও আনোয়ার হাজী বলেন, অনেক বছর পর নির্বাচনী আমেজ দেখা পেলাম। আমরা দলমতের বাহিরে যৌগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বাজারের উন্নয়ন কাজ দেখতে চাই।

বেলঁচো বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এজে ইমরান বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত চেষ্টা করছি রাজনৈতিক মতাদর্শের বাহিরে থেকে শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দেওয়া।