ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বেহেস্তের চেয়ে দোজখের সংখ্যা কম যে কারণে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০১৯  

যে ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে মহান আল্লাহ তায়ালার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং গুনাহের কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে তার ঠিকানা হবে জান্নাত।

যেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ব্যতিত আর কোনো ছায়া থাকবে না। সেদিন যারা আল্লাহর আরশের ছায়া পাবে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে, যে নির্জনে আল্লাহকে স্বরণ করে এবং তার দু’চোখ অশ্রুতে ভিজে যায়।

যখন আপনার নফস গুনাহ করতে চায় তখন অন্তরকে আল্লাহর দৃষ্টির কথা স্বরণ করিয়ে দিন। 

যদি কখনো একা থাকেন আর অন্তর বা নফস আপনাকে গুনাহের দিকে আহ্বান করে তখন অন্তরকে বলুন- মহান আল্লাহ সবই দেখছেন। আল্লাহ আমাকে দেখছেন।

যদি আপনি মনে করেন যে, আল্লাহ আপনাকে দেখছেন না। তাহলে আপনি অনেক বড় কুফুরিতে লিপ্ত। অতিসত্তর তওবা করুন।

আবার যদি আল্লাহ আমার সব কর্মকান্ড দেখছেন এ বিশ্বাস নিয়েও যদি আপনি গুনাহে লিপ্ত হন সেটা হবে আপনার চরম অবাধ্যতা। চরম হঠকারিতা। চরম নির্লজ্জতা।

একবার ভাবুন তো, কাল কিয়ামত দিবসের কঠিন মুহুর্তে আপনাকে যখন আল্লাহর সামনে হাজির করা হবে তখন আপনি এর কী জবাব দেবেন?

মহান আল্লাহ তো আমাদের দোজখে দিতে চান না। যদি চাইতেন তাহলে দোজখের সংখ্যা হতো বেশি। কিন্তু না মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে অধিক পরিমানে ভালোবাসেন এবং ক্ষমা করেন বলেই বেহেস্তের চেয়ে দোজখের সংখ্যা কম!

রবের এ মহৎ ভালোবাসার কথা স্মরণ করে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করুন, কেন আমরা নিজেদের এভাবে ঠকাচ্ছি? কেন আমরা অকল্পণীয় বিপদকে আহ্বান করছি প্রতিনিয়ত? 

মাত্র দু'দিনের দুনিয়ায় লাগামহীন চলাফেরা এবং মহান রবের অবাধ্য হয়ে কেন পরকালের অনন্ত জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করছি। এটাতো কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। 

সেই কঠিনতম দিনটিতে মহান আল্লাহর কাছে কী জবাব দেব? যেদিন আমরা জিজ্ঞাসিত হবো, তার উত্তর আমাদের এখনই ঠিক করে নিতে হবে।

প্রতিটি মুহুর্তে আমাদের ভাবতে হবে- আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে দেখছেন। প্রভু আমাকে দেখছেন। সব কিছুর হিসেব একদিন তার কাছে দিতেই হবে। প্রতিনিয়ত এ ভাবনা যদি অন্তরে লালন করতে পারি তাহলে আমরা পাপ থেকে বিরত থাকতে পারবো, ইনশাআল্লাহ!

আসুন দোয়া করি- হে আমার রব! আমার মালিক। তুমি ক্ষমাশীল। দয়াময় প্রভু। আমি তোমার গোলাম। তোমার গোলামের সন্তান গোলাম। আমাকে মাফ করে দাও। আমাকে সঠিক পথে চলার তাওফিক দাও। আমাকে কবুল কর, হে বিচার দিবসের মালিক। আমিন।