ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ভাবির পরকীয়া দেখে ফেলায় জীবন দিতে হলো দেবরকে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ভাবির পরকীয়া দেখে ফেলায় দেবর কাওছারকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ রহস্য উদঘাটন করেছে। এ ঘটনায় নিহত কিশোরের ভাবিসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কাওছার হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামিরা হলেন- উপজেলার পুরাট গ্রামের শুকুরের ছেলে মালেক (১৮), তার খালাত ভাইয়ের স্ত্রী মুসলিমা (২৬) ও উপজেলার খালইভরা গ্রামের দুলালের ছেলে রুবেল (১৯)।

সাঁথিয়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কাওসারের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে মালেকের ফোন লিস্ট দেখে মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতর করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে মালেক জানান, খালু খালেক মোল্লার বাড়িতে থাকার সময় তার খালাত ভাইয়ের স্ত্রী মুসলিমার (২৬) সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন মুসলিমার সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলে কাওছার। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা ও সংসার রক্ষায় কাওছারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মুসলিমা।

পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে বসে কাওছারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মুসলিমা। কিন্তু মালেক অপারগতা প্রকাশ করলে অন্যান্যদের সাহায্য নিতে বলেন মুসলিমা। পরে এলাকার চার বন্ধুকে নিয়ে কাওসারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মালেক।

শুক্রবার রাতে মালেক কাওছারকে গাঁজা খাওয়ার কথা বলে প্রথমে হাসানপুরের সুমনের মাছের খামারে নিয়ে যান। সেখানে লোকজন থাকায় তারা কৌশলে পাশের রেল লাইনে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে কাওছারকে হত্যা করেন।

মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওই চারজন মিলে রেলের পাত দিয়ে কাওসারের মাথায় আঘাত করতে থাকেন। পরে শরীরের শার্ট ও গেঞ্জি দিয়ে হাত পা বেঁধে লাশ পাশের খালে ফেলে দেন।

ওসি জাহাঙ্গীর জানান, মালেকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার খালইভরা গ্রামের দুলালের ছেলে রুবেল (১৯) ও হাসানপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী কাওছারের ভাবি মুসলিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সাঁথিয়া থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম জানান, ভাবিসহ পাঁচ আসামির মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। 

বুধবার পাবনা আদালতে আসামিদের হাজির করলে তারা হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলেও পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।

গত সোমবার উপজেলার হাসানপুর রেল লাইনের নিচ থেকে হাসানপুর গ্রামের কাওছারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে গত শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল।