ব্রেকিং:
কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক
  • বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

ভালোবাসায় বড় হচ্ছে যে মসজিদ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২১  

অপূর্ব কারুকাজে দৃষ্টি নন্দনভাবে গড়ে উঠছে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও তিন গম্বুজ বড় জামে মসজিদ। এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মিলে মিশে গত পক্ষকাল ধরে এ উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। ১৫০ বছরের প্রাচীন এ মসজিদে জুমা নামাজ পড়তে আশপাশের এলাকা থেকেও অসংখ্য মুসল্লি শুক্রবার এসে ভিড় করেন। 

কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাও ঐতিহাসিক তিন গম্বুজ বড় মসজিদটি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। প্রায় ১৫০ বছর আগে স্থানীয় জনহিতকররা এ মসজিদ নির্মাণ করেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মসজিদে অনেক মুসল্লি বেড়েছে। একতলার মসজিদ দুতলা হয়ে তিনতলার কাজ চলমান আছে। সেই পুরাতন মসজিদ উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে মসজিদ উন্নয়ন কমিটি। শত বাধা অতিক্রম করে আজ এ মসজিদ আগের চেয়ে চারগুণ বড় হয়েছে। আগে মুসল্লি ছিল ১০০-১৫০ জন আর এখন মুসল্লি হয় প্রায় তিন হাজার। মসজিদে এসি লাগানো আছে ১১টি।

মসজিদের বড় হওয়ার পাশাপাশি খরচও অনেক বেড়েছে। মসজিদের দান বাক্স থেকে যেই পরিমাণ অর্থ আসে, সেই অর্থ দিয়ে মসজিদের ইমাম, মোয়জ্জেম এবং খাদেম এর বেতন দেয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। মসজিদের প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল আসে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো। পাশাপাশি মসজিদ উন্নয়ন এবং মেরামত খরচ আছে। এসব খরচ বর্তমান মসজিদ উন্নয়ন কমিটি কোনোভাবে সবার সহযোগিতা নিয়ে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। 

এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মসজিদের আয়ের উৎস বৃদ্ধির জন্য মসজিদের পূর্ব পাশে এবং পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে ১০টি দোকান নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়, যা মসজিদের মুসল্লিদের সহযোগিতায় বাস্তবায়নের রূপে পরিণত হয়েছে। এসব উন্নয়ন কাজে কিছু কুচক্রী ব্যক্তি বাধাদানে সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হয় মামলা দিয়ে, না হয় কোনো ভুল তথ্য দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে হয়রানি করে যাচ্ছে। যদিও সেই বাধা অতিক্রম করে মসজিদের উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে। 

মসজিদটি চারতলা পর্যন্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার উপর তিন গম্বুজ নির্মাণ হবে আধুনিক কারুকাজের মাধ্যমে। অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সহযোগিতা করছেন যার জন্য কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মসজিদ বড় হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ভালোবাসায়।