ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মঙ্গলে উড়বে প্রথম হেলিকপ্টার, ইতিহাসের গড়ার অপেক্ষায় ২ বাঙালি

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২১  

মঙ্গলের আকাশে হেলিকপ্টার ওড়ানোর স্বপ্নটা এবার পূরণ হচ্ছে। ১৯ দিন পর মঙ্গলে সভ্যতার পাঠানো প্রথম যে হেলিকপ্টারটি (নাম-‘ইনজেনুইটি’) উড়বে। তার মূল কর্ণধার চিফ ইঞ্জিনিয়র জে বব বলরাম।

নাসা জানায়, বলরামের সঙ্গে ইতিহাসে লেখা থাকবে দুই বঙ্গসন্তানের নামও। অনুভব দত্ত এবং সৌম্য দত্ত। মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারোডায়নামিক্স ও অ্যারোইলেকট্রিসিটি বিভাগের অধ্যাপক অনুভব। সাড়ে ৩ দশক আগে যিনি তার এই পরিকল্পনা প্রথম জানিয়েছিলেন একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে।

মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছানো মহাকাশযান থেকে নিরাপদে নামার জন্য যে দৈত্যাকার প্যারাস্যুট বানানো হয়েছে, তা তৈরির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে দ্বিতীয় বঙ্গসন্তানের নাম। বর্ধমানের সৌম্য দত্ত। যিনি এখন ভার্জিনিয়ায় নাসার ল্যাংলে রিসার্চ সেন্টারের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার।

বলরাম বেঙ্গালুরুর সন্তান। যিনি ৩৬ বছর আগে যোগ দিয়েছিলেন নাসা-য়। পৃথিবী প্রথম বার সফল ভাবে অন্য কোনো গ্রহে হেলিকপ্টার ওড়াতে পারবে কি না, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে বলরামের ওপর। আর ঠিক ১৯ দিনের মাথায়, অর্থাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলে পা ছোঁয়াবে নাসার ল্যান্ডার। 

এরপরই লাল গ্রহে ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে পড়বে রোভার ‘পারসিভের‌্যান্স’। আকাশে চক্কর মারতে উড়বে হেলিকপ্টার- ইনজেনুইটি। হেলিকপ্টারকে সঙ্গে নিয়ে নাসার যে রোভার পৃথিবী থেকে মঙ্গলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল সাড়ে ৬ মাস আগে। গত ৩০ জুলাই।

মঙ্গলে যে হেলিকপ্টার উড়তে চলেছে তার ওজন ১.৮ কিলোগ্রাম (৪ পাউন্ড)। যার মাথার উপরে রয়েছে দু’টি ব্লেড বা রোটর। প্রত্যেকটির ব্যাস ৪ ফুট বা ১.২ মিটার।

রোভার পারসিভের‌্যান্স লাল গ্রহের ‘জেজেরো ক্রেটারে’ পা ছোঁয়ানোর আড়াই মাস পর তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসবে বলরামের হাতে গড়া হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। তার পরের এক মাসে মোট ৫ বার মঙ্গলের আকাশে উড়বে সেই হেলিকপ্টার। প্রতি বার দেড় মিনিটের জন্য। লাল গ্রহের পিঠ থেকে তা উড়বে সর্বাধিক ১০০ মিটার উচ্চতায়।

বিজ্ঞান বলে, পৃথিবীতে ১ লাখ ফুট বা সাড়ে ৩০ হাজার মিটার উঁচুতে ওড়া আর মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে ওড়াটা কার্যত একই রকমের। কিন্তু পৃথিবীতে তো হেলিকপ্টার ওড়ে তার ৭ ভাগের এক ভাগ উচ্চতা পর্যন্ত। তার বেশি উচ্চতায় তো পৃথিবীতে হেলিকপ্টার ওড়ানোর প্রযুক্তি করায়ত্ত হয়নি আমাদের। তার উপর আবার মঙ্গলের হেলিকপ্টারের কয়েক কিলোগ্রাম ওজনও থাকতে হবে। তার মধ্যে ভারী ব্যাটারি থাকবে। থাকবে যে যোগাযোগের জন্য রেডিও। তাদের ওজনটাকে তো আর উড়িয়ে দেয়া যাবে না!

আর সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলরামের সামনে। নাসার সামনেও। শেষ পর্যন্ত পথ দেখান বলরামই। ভ্যাকুয়াম চেম্বার আর জেপিএল-এ ২৫ ফুট লম্বা স্পেস সিম্যুলেশন চেম্বারে পরীক্ষানিরীক্ষায় উতরে যায় বলরামের স্বপ্নের হেলিকপ্টার। তার পরেই তাকে পাঠানো হয় মঙ্গল অভিযানে। গত সেপ্টেম্বরে।