ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোনয়ন বাণিজ্যসহ ৫ কারণে লক্ষ্মীপুরে নৌকাডুবি!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২১  

মনোনয়ন বাণিজ্যসহ ৫ কারণে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হেরেছেন। গতকাল রবিবার দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে তাদের পরাজয় হয়। স্থানীয় নেতাকর্মী ও ইউনিয়নের বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, প্রার্থীদের তৃনমূলের নামের তালিকা প্রস্তুতে অনিয়ম, মনোনয়ন বাণিজ্য, জনবিচ্ছিন্ন প্রার্থীদের মনোনয়ন, জেলা-উপজেলা-ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দ্বদ্ব, তৃনমূলের নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নের কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হেরেছেন।

রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর, লামচর, করপাড়া, ভোলাকোট, ভাটরা, চন্ডিপুর, রায়পুরের উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হেরেছেন। তারা প্রত্যেকেই বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতৃত্বে রয়েছেন।

এদিকে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শহীদ উল্যা ৯ কেন্দ্রের একটিতেও জিতেননি। বিদ্রোহী প্রার্থী জাফর উল্যা দুলাল হাওলাদার প্রায় ৭ হাজার বেশি ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মিঠু বলেন, জেলা-উপজেলা থেকে প্রার্থীর তালিকায় আমার নাম দেওয়া হয়নি। টাকার বিনিময়ে নব্যদের নাম কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমি মনোনয়ন পেয়েছি। কিন্তু কেউই আন্তরিকভাবে আমার নির্বাচন করেনি। এজন্য হারতে হয়েছে।

রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টু বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য ও আমাদের নেতাকর্মীদের সমন্বয়হীনতার কারণে নৌকা হেরেছে এটা সত্য। তবে মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে আমি জড়িত নই। কারা জড়িত তা আমি দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদেরকে জানিয়েছি।

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, দলের প্রার্থীদের ভুলের কারণে কয়েকটি ইউনিয়নে হেরেছেন তারা। ভবিষ্যতে যেন এসব না হয়, সেভাবে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রবিবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, রায়পুর ও রামগঞ্জের ২০ টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। ইছাপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় ছাত্রলীগ নেতা নৌকার এজেন্ট সাজ্জাদুর রহমান সজিবের মৃত্যু হয়।