মার্কিন সেনাদের থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস!

চীনের উহান প্রদেশে মার্কিন সেনাবাহিনীরাই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। এমন দাবি করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, উহান করোনাভাইরাসের আঁতুরঘর নয় বরং প্রাণঘাতী এ ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ছড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টুইট করে এমনই সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করেছেন চীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। ওই টুইটে তিনি বলেন, আসলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে কখন প্রথম রোগী শনাক্ত হলো? কয়জন আক্রান্ত হয়েছে? হাসপাতালগুলোর নাম কী? এ সংক্রান্ত সব তথ্যই তারা গোপন করছে। হতে পারে, মার্কিন সামরিক বাহিনীই এ মহামারী উহানে এনেছে।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে এসব তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে হবে!

তবে মার্কিন সামরিক বাহিনী এ ভাইরাস ছড়িয়েছে, এমন দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি ঝাও।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের আরেক মুখপাত্র গেং শুয়াং করোনা ভাইরাস বিশ্ব মহামারী হওয়ায় বেইজিংকে দোষারোপ করার বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে বলেন, তাদের বক্তব্য ‘অনৈতিক ও দায়িত্বহীন।’

গ্যাং বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চীনের প্রচেষ্টা বিশ্বকে এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার সময় করে দিয়েছে। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা চীনকে দোষারোপ করার পেছনে তাদের শক্তি ব্যয় না করে ভাইরাস মোকাবিলায় ও সহযোগিতায় মনোযোগ দেবে।

বুধবার মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনের ধীরগতির কারণেই সারাবিশ্ব দুইমাস ভুক্তভোগী হয়েছে। ভাইরাস মোকাবিলায় চীনের পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্যের অবাধ প্রবাহ বাধাগ্রস্থ করেও চীন অপরাধ করেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে উহানে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের তথ্য নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট স্বচ্ছ না হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এ অভিযোগে বিরক্ত হয়েছে চীন। তবে চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান এর আগে জানিয়েছেন যে, উহানের বন্য পশুর বাজার থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।