ব্রেকিং:
‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা জাহাজসহ জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের সবশেষ অবস্থা জানা গেছে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রমজান উপলক্ষে গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশসহ ৯ দেশ রোজায় স্কুল খোলা না বন্ধ, সিদ্ধান্ত আজ পুরান ঢাকায় জুতার কারখানায় ভয়াবহ আগুন গাজায় ‘জঘন্য অপরাধ’ বন্ধের আহ্বান সৌদি বাদশাহর আম্বানিপুত্রের বিয়েতে যে দামি উপহার দিলেন শাহরুখ-সালমান মেয়র পদে উপনির্বাচন- কুমিল্লায় জয়ী বাহারকন্যা সূচনা
  • মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

‘মিল মালিক নয়, কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার পরামর্শ’

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০১৯  

মিল মালিক নয়, সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারকে ধান কেনার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মুহম্মদ কাদের। তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কারণ কৃষক তার শ্রমিকের মজুরি দিতে পারছে না।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়া কৃষকদের সমস্যা সমাধানে সরকারের ভূমিকা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, প্রতি মণ ধান উৎপাদনে কৃষকদের খরচ হয়েছে  ৯০৬ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু বাজারে প্রতি মণ ধানের দাম ৫শ’ থেকে সাড়ে  ৫শ’ টাকা। আবার ধান কাটতে একজন কৃষি শ্রমিকের তিন বেলা খাবারসহ মজুরি বাবদ খরচ হয় ৬শ’ থেকে ১ হাজার টাকা। এতে কৃষকরা মাঠের ধান কাটতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। 

প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে সাড়ে  ৫শ’ টাকায়। ঠিক তখন স্থানীয় বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১ হাজার ৬শ’ থেকে ২ হাজার টাকায়। কৃষকদের অভিযোগ, মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে কৃষি। তারা বলেন, সরকার মিল মালিকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে, এতে কৃষক ন্যায্যমূল্য পায় না।

এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, প্রয়োজনে বেসরকারি মালিকানাধীন গুদামগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে এনে জরুরি ভিত্তিতে ধান সংরক্ষণ করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় চাল রফতানি ভবিষ্যৎ খাদ্য সংকট ঝুঁকি বহন করে। যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। বোরো ধান নিয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। হতাশাগ্রস্থ কৃষকরা বোরো মৌসুমে ধান কাটছেন না।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের বরাত দিয়ে প্রচারিত সংবাদে জানা গেছে, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদেশে চাল রফতানির চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।

জি এম কাদের বলেন, চাল রফতানি পরের বিষয়, আগে কৃষক বাঁচান। তাছাড়া কোনো খাদ্য শস্য রফতানির পূর্বে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। কারণ, কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে চাল বা খাদ্যদ্রব্য প্রয়োজন হলে, দ্রুততার সঙ্গে আমদানি করা সম্ভব নয়। এতে ভয়াবহ খাদ্য সংকটের ঝুঁকি থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আক্তার, এমরান হোসেন মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, জহিরুল আলম জহির, হাসিবুল ইসলাম জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, মনিরুল ইসলাম মিলন, মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় নেতা আদেলুর রহমান আদেল, সাজ্জাদ পারভেজ চৌধুরী, রেজাউল রাজী চৌধুরী স্বপন, সোলায়মান সামী, দ্বীন ইসলাম শেখ, জাকির হোসেন মৃধা, আনোয়ার হোসেন তোতা, শেখ মো. ফয়জুল্লাহ শিপন, মো. নুরুজ্জামান ও ওলিউল ইসলাম।