মুরাদনগরে বাস চালকের রহস্যজনক মৃত্যু

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পৈয়াপাথর গ্রামে সুমন মিয়া (৩২)
নামে এক বাস চালকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক ৫টায় এ ঘটনা
ঘটে। পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সুমন মিয়ার স্ত্রী তিশা আক্তার (২৬) ও তার মা
লাকী আক্তারকে (৪৫) আটক করেছে। সুমন মিয়া উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর
গ্রামের মৃত মরম আলী ড্রাইভারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া দীর্ঘদিন যাবত তিশা পরিবহনের বাস চালাতো।
একমাস পূর্বে সে পৈয়াপাথর এলাকার ব্যাবসায়ী খলিলুর রহমানের বাড়ীতে বাসা ভাড়া নেয়।
সুমন মিয়ার অনুপস্থিতিতে ওই বাসায় বহিরাগত ছেলেদের আনাগোনা প্রায়ই দেখা যেত। এ
নিয়ে প্রতিনিয়ত স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। খবর পেয়ে থানা পুলিশ মঙ্গলবার
দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে বাস চালক সুমন মিয়ার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। একই সাথে
স্ত্রী তিশা আক্তার (২৬) ও তার মা লাকী আক্তারকে (৪৫) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তিশা
আক্তার দেবিদ্বার উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের মাহফুজ মিয়ার মেয়ে। সুমন মিয়া গলায় ফাঁস
দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ
ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সুমন মিয়ার বড় ভাই
ফারুক মিয়া বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে।
সুমন মিয়ার বোন পারভীন আক্তার জানান, তিশা আক্তারের পরকিয়ার জেরেই আমার ভাই সুমন
মিয়াকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ হত্যার সুষ্ঠু বিচারসহ খুনিদের ফাসি 
দাবি করেন।
মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম জানান, স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে প্ররোচিত হয়ে সুমন
মিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে প্রথামিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে
মৃত্যুর রহস্য নিশ্চিত হওয়া যাবে।