ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মুরাদনগরে বিত্তশালীকে দেয়া হয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০১৯  

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের, ৬নং ওয়ার্ডের ঘোড়াশাল গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে, বিত্তশালী মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়াকে ‘জমি আছে ঘর নেই’ আশ্রয়ন প্রকল্পের, সরকারি ঘর দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

জানা যায়, ঘোড়াশাল গ্রামের, মৃত বজলু মিয়ার ছেলে মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়ার আধাপাকা বারান্দাসহ একটি চৌচালা ঘর, পাশে একটি একচালা রান্নাঘর, গোড়াপাকা টিউবওয়েলসহ গোসলখানা, বাড়ির পূর্ব পাশে একটি আধাপাকা দোচালা মুদি ও ষ্টেশনারী দোকান ঘর রয়েছে। দোকানে রয়েছে রঙ্গিন টিভি ও ফ্রিজ। এছাড়াও মাঠে রয়েছে কিছু ফসলি জমি। বছর দেড়েক আগে তার এক ছেলে আব্দুল্লাহকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছে। 

অথচ ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক তাকেই দিয়েছে ‘জমি আছে ঘর নেই’ আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি সরকারি ঘর। দোকান বাকীর ২০ হাজার ও নগদ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এ ঘর মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়া পেয়েছে বলে বিশস্ত সূত্রে জানা গেছে। 
এলাকাবাসী জানায়, উক্ত গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার থাকার কোন ঘর না থাকায়, বেরীবাঁধের ভিতরে অহিদ মিয়ার বাড়িতে কোন রকমে জীবনযাপন করছে। একই গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে কালা মিয়াও, ঘোড়াশাল বাজারের একটি দোকানে ছেলে মেয়ে নিয়ে মানবেতর বসবাস করছে। এ ধরনের গরীব অসহায় পরিবার গুলোকে সরকারি ঘর না দিয়ে, বিত্তশালীকে ঘর দেওয়ায় এলাকার সচেতন মহলের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
 
বিষয়টির ব্যাপারে মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়া জানান, আমি আমার ভাইয়ের ঘরে থাকি। মেম্বারকে অনুরোধ করায় ঘরটি আমাকে দিয়েছে। ঘরের বিনিময়ে কোন টাকা পয়সা দিতে হয় নাই। এক ছেলে বিদেশ পাঠালেও কিছুদিন পর সে দেশে চলে এসেছে। 
 
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি ঘর দেওয়ার মালিক না, আমি নাম দিয়েছি। অফিসাররা মোতাহার হোসেন ওরফে কালা মিয়ার নাম বাছাই করেছে। এ ব্যাপারে আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব।