ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মেঘ দেখলেই পালায় বিদ্যুৎ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২১  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এক ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। একবার লোডশেডিং হলে বিদ্যুৎ আসে ২-৩ ঘণ্টা পর। আবার আকাশে সামান্য মেঘ দেখা দিলে কিংবা সামান্য বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই- কয়েক ঘণ্টার আগে দেখা মেলে না বিদ্যুতের।

কখনো ঘোষণা দিয়ে, আবার কখনো ঘোষণা ছাড়াই লাইন সংস্কারের নামে সারাদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এভাবে দিনে-রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছে উপজেলাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে এমন অব্যবস্থাপনার শিকার হলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না আখাউড়ার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকাসহ উপজেলার উত্তর ইউনিয়ন, দক্ষিণ ইউনিয়ন, মোগড়া, মনিয়ন্দ, ধরখার ইউনিয়ন ও সদর উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ৪-৫ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যানসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি। এছাড়া সংস্কারের নামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখায় বাড়ছে ভোগান্তি। সারাদেশের মানুষ বিদ্যুৎ খাতের সুফল ভোগ করলেও বঞ্চিত হচ্ছে আখাউড়ার মানুষ। এতে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।

মোগড়া ইউনিয়নের মো. শাহজাহান বলেন, এখানে দিনে-রাতে লোডশেডিং যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকছেই। এই গরমে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় বাসা-অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান- কোথাও টিকতে পারছি না।

পৌর এলাকার মো. দিদারুল আলম বলেন, আকাশে সামান্য মেঘ দেখা দিলে কিংবা বজ্রপাত হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ২-৩ ঘণ্টার আগে বিদ্যুৎ আসে না।

আখাউড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. আবুল বাশার বলেন, আকাশে মেঘ হলে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে। বিদ্যুৎ চালু থাকা অবস্থায় বজ্রপাত হলে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য মেঘ হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়।

তিনি আরো বলেন, গ্রাহকদের সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেক সময় লাইনে সমস্যা থাকায় লোডশেডিং হয়। আমরা এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে কাজ করছি। শিগগিরই আখাউড়ায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা হবে।