ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মেরীকে পাস কাটিয়ে নৌকার মাঝি হতে সক্রিয় মজিদ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

যোগাযোগ ব্যবস্থায় একসময়কার নৌযান নির্ভর উপজেলা ছিল হোমনা এবং তিতাস। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের হাত ধরে কুমিল্লা-২ সংসদীয় এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত কুমিল্লা-২ আসনে আওয়ামীলীগের তৃণমূল সুসংহত করতে মাঠের রাজনীতিতে সময় দিচ্ছেন হোমনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পুস্তক ব্যবসায়ী অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ। লক্ষ্য অভূতপূর্ব জয়ের মধ্যদিয়ে আসনটির জয়ের ধারা অক্ষুন্ন রাখা। দলের মনোনয়ন নিয়ে নৌকার মাঝি হতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মজিদ। অন্যদিকে আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে আবারও মনোনয়ন পাবার আশায় এ আসনের বর্তমান সাংসদ সেলিমা আহমেদ মেরী সক্রিয় হয়ে ওঠেছেন। পাশাপাশি হোমনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবিএম সিদ্দিকুর রহমান আবুল ও তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার মাঠে রয়েছেন। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে বিনাভোটে জাতীয়পার্টির কমপরিচিতি সম্পন্ন ব্যক্তি আমীর হোসেন এমপি নির্বাচিত হলেও আসনটিতে প্রভাব রয়েছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির।

এদিকে এ আসনের পাঁচবারের নির্বাচিত এমপি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বর্ষিয়ান রাজনীতিক এমকে আনোয়ার সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করলে হোমনা ও তিতাসে আগামীর নেতৃত্বের হাল কে ধরবে এনিয়ে এখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে আছে দলটি। এ দ্বিধাদ্বন্দ্বের ভেতরেই দলের নির্দেশে গত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন থেকে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সেলিমা আহমেদ মেরীর আছে হেরে যান ড. খন্দাকার মোশারফ। এ আসনে এ অবস্থায় বিএনপির একটি অংশ আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আনোয়ার পুত্রকে এবার নেতৃত্বে আনতে চায়। তারা চায় আগামীতে এমকে আনোয়ারের জেষ্ঠ্যপুত্র মাহমুদ আনোয়ার কায়জার দলের প্রার্থী হোক। তবে বিএনপির আরেকটি অংশ হোমনা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহরকে আগামী নেতৃত্বের কান্ডারি মনে করছেন। আজিজ ও জহর দুইজনই বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি। তবে আসনটির বর্তমান জয়ের ধারা চলমান রাখতে আওয়ামীলীগের শক্ত অবস্থানের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য শক্তিশালী ও সবার কাছে গ্রহণ্যযোগ্য প্রার্থী দিবে বলে জানান কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা। কারণ এমকে আনোয়ারবিহীন কুমিল্লা-২ আসনে বিএনপি শক্ত নেতৃত্ব দিতে না পারলে বর্তমানে আওয়ামীলীগের যে শক্ত অবস্থান তৈরি হচ্ছে তা আগামী নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর ক্ষেত্রে জয় পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

হোমনার একটি পৌরসভা এবং ৯টি ইউনিয়ন আর তিতাসের ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে কুমিল্লা-২ আসন। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির বিএনপির দূর্গ হিসেবেই পরিচিতি রয়েছে কুমিল্লা-২ আসনের। ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোজাফফর আলী। এরপর গত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া মাঝখানে দীর্ঘ ৪৪ বছরেও বিজয়ের মুখ দেখেনি আওয়ামীলীগ। এ আসন থেকে বিএনপির এম কে আনোয়ার টানা পাঁচবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি মৃত্যুবরণ করলে হোমনা-তিতাস বিএনপি এখন নেতৃত্ব সঙ্কটে। ফলে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে হোমনা ও তিতাস উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে মোড় ঘুরতে শুরু করেছে। আগামীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী দলটির ভেতরে নেতাদের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্কের উত্তরণ ঘটছে। আওয়ামীলীগ এবং নৌকার প্রশ্নে হোমনা-তিতাসের নেতারা এক ও অভিন্ন এমন আভাসই মিলছে আওয়ামীলীগের রাজনীতির মাঠে। আগামী নির্বাচনে তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার, হোমনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক এবিএম ছিদ্দিকুর রহমান আবুল ও বর্তমান সাংসদ সেলিমা আহমেদ মেরীসহ চারজনই দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন। আবার নির্বাচনের ডামাঢোল বাঁজলে অনেকেই যেমন সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় নাম তুলেন। তেমনি এ আসনের ১৯৭৩ সালের আওয়ামীলীগের এমপি মুজাফ্ফর আলীর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচন প্রচার পরিচালানা কমিটির সদস্য ফারাহ দীবা দিপ্তীও আগামী নির্বাচনে এ আসনসহ কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি- মেঘনা) আসনে দলীয় মনোনয়নের আশায় দৌড়ঝাঁপ করছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য।

এদিকে মাঠ পর্যায়ের রাজনীতিতে অন্যান্যদের নিস্ক্রিয়তার কারণে বর্তমানে তৃণমুল আওয়ামীলীগের ভরসা হয়ে ওঠেছেন অধ্যক্ষ আদুল মজিদ সরকার। তিনি নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে আঁটঘাট বেধেই মাঠে নেমেছেন। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে আবদুল মজিদ কেন্দ্রে লবিংও চালাচ্ছেন।

হোমনা-তিতাসের অভূতপূর্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মানুষের সামনে তুলে ধরছেন তিনি। হোমনা আওয়ামীলীগকে সুসংহত করার কারিগর হচ্ছেন আবদুল মজিদ। তিতাসেও যেনো আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকে এজন্যও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। গত ইউপি নির্বাচনে আবদুল মজিদের সাংগঠনিক দক্ষতা ও সাধারণ ভোটারদের বিশ্বস্থতা তার স্ত্রী রেহেনা মজিদকে হোমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করাসহ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করেছে। গত ২০১০ সালে তিতাসে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পাওয়ার সেন্টার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করার ক্ষেত্রে আবদুল মজিদ অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। হোমনার ক্লিন ইমেজের স্বচ্ছ নেতা আদুল মজিদের নিজ এলাকাতে যেমন ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তেমনি তিতাসেও তার কদর এবং অনুসারি সমর্থকের অভাব নেই। অধ্যক্ষ মজিদের সাথে পারভেজ সরকার ও ছিদ্দিকুর রহমান আবুলেরও রয়েছে সুসম্পর্ক। আদুল মজিদকে ঘিরে হোমনা- তিতাসে আওয়ামীলীগ এখন ঐক্যের দিকে এগুচ্ছে। হোমনা-তিতাস আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করছেন আগামী নির্বাচনে দীর্ঘদিনের হারানো কুমিল্লা-২ আসনের জয়ের ধারা অক্ষুন্ন রাখতে আদুল মজিদের বিকল্প নেই। মজিদের মতো দানবীর নেতৃত্বই কুমিল্লা-২ আসনে আওয়ামীলীগের জয় নিশ্চিত করে নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি করবেন।

এদিকে বিএনপির বর্ষিয়ান রাজনীতিক এমকে আনোয়ারের হাত ধরে কুমিল্লা-২ আসনটি বিএনপির ঘাঁটিতে পরিণত হয়। গ্রুপিংয়ের কারনে বিগত সময়ের জাতীয় নির্বাচনগুলোতে আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে মুর্তুজা হোসেন মোল্লা, মুরাদনগর থেকে আসা কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও এমকে আনোয়ারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হতে পারেননি। গত ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর এমকে আনোয়ার ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে হোমনা-তিতাস বিএনপি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে এটি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাই মনে করছেন। মৃত্যুর আগে মামলা, কারাভোগসহ প্রায় তিন বছর ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। ফলে নিজের নির্বাচনী এলাকায় খুব বেশি সময় দিতে পারেননি। তার অনুপস্থিতি যাতে দলীয় নেতাকর্মীরা অনুভব করতে না পারে এজন্য হোমনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন। আবার হোমনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহর ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলামও নিজের মতো করে দলকে গুছিয়েছেন। আগামীর নেতৃত্বের আশায় তারা তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সংগঠিত রাখতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়াও দাউদকান্দির সাবেক এমপি ড. মোশাররফ হোসেনের অনুসারি তিতাস উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছাদেকুল ইসলাম চেয়ারম্যান তিতাসে তাঁর গ্রুপের অবস্থান শক্ত করে রেখেছেন। তবে এ আসনে এবারও খন্দকার মোশারফ বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন।

এমকে আনোয়ারের মৃত্যুর পর কুমিল্লা-২ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় দলের তৃণমূল থেকেই ওঠে আসে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, জহিরুল ইসলাম জহর, সিরাজুল ইসলামের নাম। কিন্তু হোমনা-তিতাসের বিএনপির একটি অংশ চাইছে মরহুম এমকে আনোয়ারের পুত্র মাহমুদ আনোয়ার কায়জার দলের প্রার্থী হোক। এমকে আনোয়ারের দলীয়, পারিবারিক ও ব্যক্তি ইমেজের পথ ধরে তাঁর ছেলে আগামী নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে বিএনপির একটি অংশের ধারণা। তবে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন বিএনপির মাঠ পর্যায়ের রাজনীতিতে মরহুম এমকে আনোয়ারের পুত্রের কোনরকম সম্পৃক্ততা নেই। এমনিতেই হামলা মামলা-মোকদ্দমায় হোমনা তিতাসের নেতাকর্মীরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। তার ওপর রাজনীতিতে নবাগত প্রার্থী দিলে জয় পাওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তবে আগামী নির্বাচনে এমকে আনোয়ারপুত্র প্রার্থী হবেন কিনা এবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। অন্যদিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানান, কুমিল্লা-২ নির্বাচনী এলাকাটি বিএনপির ঘাঁটি হলেও সেখানে আওয়ামীলীগ ধীরে ধীরে সাংগঠনিক শক্তি অর্জন করেছে। এমকে আনোয়ার না থাকায় ওই নির্বাচনী এলাকায় নেতৃত্ব শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সেই শূণ্যতা পূরণ করে নিবে। কিন্তু আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী যে-ই হোক বিএনপির তো শক্তিশালী প্রার্থী লাগবে। আসনটি পুনরুদ্ধারের জন্য সবদিক থেকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন প্রার্থীই খুঁজে নেয়া হবে আগামী নির্বাচনের জন্য।