ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মেয়েকে ধর্ষণ করে নিজেকে ‘পীর’ দাবি করলো বাবা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২০  

নাটোরের বড়াইগ্রামে নিজের মেয়েকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষক বাবা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে, ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে বড়াইগ্রাম থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন ধর্ষিত ওই মেয়ের মা রেখা বেগম। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম বড়াইগ্রাম উপজেলার গোয়ালফা এলাকার বশরত মন্ডলের ছেলে।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলিপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,  ওই মেয়েটির মা রেখা বেগম ৮/১০ বছর আগে তার স্বামী শরীফুল ইসলামকে ছেড়ে ওই মেয়েকে নিয়ে নাটোর সদর উপজেলার পুর্ব হাগুরিয়া গ্রামে তার বাবা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।

পরে দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অন্যত্র সংসার গড়েন রেখা বেগম। আর মেয়ে তার নানা আনোয়ার হোসেনের বাসায় থাকতেন। কোরবানির ঈদের আগে শরিফুল ইসলাম তার মেয়েকে নানার বাড়ি থেকে বড়াইগ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নিজের ওই মেয়েকে ঘরে আটকে রেখে নিয়মিত ধর্ষণ করতে থাকেন। মেয়েটি এ ঘটনা তার দাদা বশরত আলী ও তার দাদীকে জানালেও কোনো প্রতিকার পায়নি।  

ফলে মেয়েটি আরো বেশি অসহায় হয়ে পড়ে। এই সময়ে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিকভাবেও নির্যাতনের শিকার হয় মেয়েটি। বাড়িতে কোনো লোকজন এলে তার সঙ্গে দেখা বা কথা বলতেও দেয়া হতো না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মেয়েটি তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা রেখা বেগম তার বাবা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু হয়। 

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বাবা শরীফুলকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের একটি চর থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। 

দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন সিআইডির ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম। তিনি জানান, গ্রেফতারের পর শরীফুল নিজেকে পীর বলে দাবি করেছে।

এদিকে নির্যাতিতা ওই মেয়ে বলেন, তার মা বাবাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করেছেন ১০ বছর আগে। পরে বাবাও দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এবার কোরবানির ঈদের সময় ছোট মা বেড়াতে গেলে বাবা আমাকে বাড়িতে নিয়ে যান।  এক রাতে আমাকে বাবা ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর বিভিন্ন সময় আরো ৭/৮ বার ধর্ষণ করেন। একবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে আমি বাধা দিই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অনেক মারধর করে। একই সঙ্গে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। পরে ভয় পেয়ে আমি মাকে সব খুলে বলি। ঘটনা জানার পর মা থানায় অভিযোগ করেন। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।