ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

যে অপরাধে পুলিশের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি টিয়াও!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১ মে ২০১৯  

মাদক কারবারি। বলা হয়ে থাকে একটা দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু তারা। কারণ, এ ধরনের একটি চক্রের কারণে ধ্বংস হয়ে যায় পুরো দেশ। হুম! প্রশ্ন আসতে পারে, পুরো দেশ কীভাবে ধ্বংস হয়? একটি মাদক কারবারি চক্র যখন মাদকের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে তখন তারা ওই স্থানের যুবসমাজকে টার্গেট করে। আর ওই যুবসমাজ খুব দ্রুত এ নেশায় আক্রান্ত হয়। আর কোনো দেশের যুবসমাজ ধ্বংস মানে পুরো দেশ ধ্বংস হওয়া। কারণ তাদের দিকে তাকিয়ে পুরো দেশ।

আজকের যুবকরা আগামী দিনের দেশের পথপ্রদর্শক। আর যে দেশের পথ প্রদর্শক নেশায় আক্রান্ত থাকবে সেদেশ কখনো সামনের দিকে এগোতে পারবে না। তাই তাদের আক্রান্ত করতে পারা মানে পুরো দেশটাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা। আর কোনো সরকারই চায় না নিজের দেশের জনগণ ধ্বংস হউক।

তাই প্রত্যেক দেশের সরকারই এই মাদক কারবারিদের প্রতিহত করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ অবলম্বন করে থাকে। বিভিন্ন নিত্য নতুন প্রযুক্তি প্রশাসন ব্যবহার করে এদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে। এদের ধরতে কখনো এক বিন্দু ছাড় দেয়া হয় না। হোক সে মেয়ে অথবা ছেলে। তবে এবার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল একটি দেশ। মাদক কারবারির সঙ্গে যুক্ত থাকায় পাখিকে পর্যন্ত ছাড় দেয়নি তারা।

ঘটনা হলো, বহুদিন ধরে মাদক কারবারিদের সহযোগিতা করে আসছিল একটি টিয়া পাখি। অপরাধীদের বিভিন্ন ইনফরমেশন থেকে শুরু করে পালিয়ে যাওয়ার মতো সহযোগিতা করে আসছিল সে পাখিটি। এমন অভিযোগ পেয়েছিল দেশটির প্রশাসন। পরে ওই পাখিকে আটক করেছে ব্রাজিল পুলিশ। তার (পাখির) বিরুদ্ধে অভিযোগ, অপরাধীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছে সে। শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও আজব এই ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলের পিয়াউই প্রদেশে। 

আর এ ঘটনার খবর দিয়েছে শক্তিশালী গণমাধ্যম বিবিসি। তাদের সূত্রে জানা গেছে, পিয়াউই প্রদেশের ওই মাদক ব্যবসায়ী তার বাড়িতে টিয়া পাখিটি পুষতেন। ব্রাজিলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় ওই মাদক ব্যবসায়ী মাফিয়াচক্রের সদস্য বলে লিখিত ছিল। তারা (প্রশাসন) অনেকদিন ধরে বিভিন্নভাবে সে প্রমাণ বের করতে থাকে। পরে সুযোগ বুঝে ওই পাখিটিকে আটক করা হয়। 

এই সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, জানালা নেই এমন একটি বাড়ির দরজায় পাখিটি পুষেছিলেন ওই কারবারি। শুধুমাত্র তাদের অগ্রিম খবর দেয়াই পাখিটির কাজ ছিল। এ অনুযায়ী সে কাজ করে আসছিল। পুলিশ এলেই নাকি পাখিটি বলে উঠত, ‘মামেয় পুলিশিয়া’। যার অর্থ-পুলিশ এসেছে পালাও। এভাবেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল পাখিটিকে। আর পাখিটি এটা বলার সঙ্গে সঙ্গে তারা পেছনের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যেত। তবে এবার আর ভুল করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাদক কারবারিদের ধরতে এসে, তাদের না পেয়ে আটক করে পাখিটিকে।  

পরে আবারো ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেদিন ‘মামেয় পুলিশিয়া’ বলার কেউ ছিল না। তাই মাদক কারবারিরা বুঝতে পারেনি যে, পুলিশ এসেছে। পরে তারা ওই মাদক ব্যবসায়ীদের হাতেনাতে গ্রেফতার করে। 
গ্রেফতার মাফিয়াচক্রের ওই দলটির মধ্যে ছিল, মূল হোতা ও এক তরুণী। তারা এরইমধ্যে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। সঙ্গে টিয়া পাখিটিও পুলিশের কাছে আটক আছে।

এ প্রসঙ্গে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমরা সেই বাড়িতে অভিযানে যেতেই টিয়া পাখিটি চিৎকার শুরু করে। যে কারণে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বেশ বেগ পেতে হয়। পরে আমরা টিয়া পাখিটিকে আগে হাতেনাতে আটক করি। তারপর পুরো চক্রটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। মজার ব্যাপার হলো, টিয়া পাখিটি থানায় আসার পর একটিও শব্দ করেনি। তার মালিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সে চুপ হয়ে গেছে। এখন সে সারাক্ষণ মন খারাপ করে বসে থাকে। পরে টিয়া পাখিটিকে একটি স্থানীয় চিড়িয়াখানায় দিয়ে দেয়া হয় বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।