ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

যে কারণে তরুণরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে কোলন ক্যান্সারে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

সারাবিশ্বে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্তের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই সমস্যা কোনো বয়স মানে না। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ যে কারোরই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সার। বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এটি। এরমধ্যে কোলন ক্যান্সারের হার অনেক বেশি।    

তুলনামূলক কম বয়সে মানুষের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের হার বাড়ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার হার বাড়ছে এবং এত দ্রুতগতিতে এটা হচ্ছে যে বিজ্ঞানীরাও বিস্মিত হয়ে পড়েছেন। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্ক তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার গড় বয়স কমছে।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির তত্বাবধান বিভাগের প্রধান এবং গবেষণা নিবন্ধটির একজন লেখক রেবেকা সিগেল সিএনএন'কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিজ্ঞানীরা জানতেন যে তরুণদের মধ্যে কোলোরেকটাল ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার হার বাড়ছে। কিন্তু এত দ্রুতগতিতে এটি হচ্ছে, সেটা জানতে পেরে আমরা বিস্মিত হয়েছি।

রেবেকা সিগেল বলেন, এই রিপোর্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি যে শুধু বর্তমানের ক্যান্সার পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে তাই নয়, ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও আমাদের ধারণা দেয়।

তিনি মন্তব্য করেন, প্রাপ্তবয়স্ক তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার হার বাড়তে থাকলে তাদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা ও যৌন ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রাখা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা নতুন ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।

পাশাপাশি তরুণরা আক্রান্ত হলে দীর্ঘ মেয়াদে তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়, যেই ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় ধরে চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোর বিষয়েও নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে চিকিৎসকদের।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা এনএইচএস'এর তথ্য অনুযায়ী কোলন ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কোন কারণ জানা যায় না, তবে কিছু কিছু বিষয় এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সেগুলো হল:

বয়স 
কোলন ক্যান্সারে ভুগতে থাকা প্রতি ১০ জনের ৯ জনের বয়সই ৬০ বা তার চেয়ে বেশি।

খাদ্যাভ্যাস
অতিরিক্ত মাংস খাওয়া এবং খাদ্য তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের স্বল্পতা থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।

ওজন
অতিরিক্ত ওজন যাদের রয়েছে, তাদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ব্যায়াম
যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম না করা হলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

মদ্যপান ও ধূমপান
মদ্যপান ও ধূমপান কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

পারিবারিক ইতিহাস
পরিবারের কোনো সদস্যের (বাবা, মা বা ভাই, বোন) যদি ৫০ এর কম বয়সে কোলন ক্যান্সার হয়, তাহলে ঐ ব্যক্তিরও ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া মলত্যাগের জন্য হাই কমোড ব্যবহার করা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে উঠে আসে ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জার্নালে প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণায়। গবেষণাটি ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তেহরানের ১০০ জন কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর তথ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

এনএইচএস'এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী কোলন ক্যান্সারের প্রধান উপসর্গ তিনটি। সেগুলো হল- 

মলের সঙ্গে নিয়মিত রক্ত নির্গত হওয়া। সাধারণত পাকস্থলীর কার্যক্রমে পরিবর্তন হলে এমনটা হতে পারে। 

পাকস্থলীর কার্যক্রমে দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন। এরকম সময়ে রোগী সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি মলত্যাগ করে এবং মল অপেক্ষাকৃত তরল হয়ে থাকে।

তলপেটে ক্রমাগত ব্যাথা, পেট ফোলা বা অস্বস্তি বোধ করা। এই উপসর্গের সঙ্গে সাধারণত খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, খাওয়ার রুচি হারানো বা ওজন হারানোর সংশ্লিষ্টতা থাকে।

এছাড়া ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, মলত্যাগ করার পরও বারবার মলত্যাগের ইচ্ছা হওয়া বা রক্তে আয়রনের স্বল্পতার মত উপসর্গও দেখা যায় কোলন ক্যান্সারে।