ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

যে কোনো দেশ থেকে ফিরলেই পাঠানো হবে কোয়ারেন্টাইনে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২০  

‘নির্দিষ্ট’ কিংবা ‘বিশেষ’ কোনো দেশ নয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যে কোনো দেশ থেকে যে কেউ ফিরলেই তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর।

তিনি বলেন, ইতালী বা অন্য কোনো বিশেষ রাষ্ট্র বলতে আমদের কোনো কথা নাই; করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশ থেকে যে-ই আসবে; সে-ই কোয়ারেন্টাইনে যাবে। ইতোমধ্যে কুমিল্লায় যে ৮৭০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে।

যারা আক্রান্ত দেশ থেকে এসে অথবা যারা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে এসেছেÑ তাদের বিষয়ে খবর সংগ্রহ করে তারপর কোয়ারেন্টাইনে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় করোনা প্রতিরোধ জেলা কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় করোনা প্রতিরোধ জেলা কমিটির এক সভা কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীরের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এ এইচ এম জামেরী হাসান, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শওকত ওসমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো: নিয়াতুজ্জামানসহ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মজিদ, কুমিল্লার সিনিয়র তথ্য অফিসার মীর আহসানুল কবির, সমাজসেবার উপপরিচালক মিজানুর রহমানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং কুমিল্লার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিস্তারিত আলোচনার পর কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য তিনজনের একটি কমিটি করা হয়। কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এ এইচ এম জামেরী হাসান, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান ও ডেপুটি সিভিল সার্জন শাহাদাত হোসেন।

সভা শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, কুমিল্লার জীবন-যাত্রা স্বাভাবিক আছে; তবে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ইতোমধ্যেই আমরা কুমিল্লায় কন্ট্রোলরুম করেছি, সেই কন্ট্রোলরুমকে আরো কার্যকর করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও জেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তিনজন ফোগার পয়েন্ট নির্বাচন করা হয়েছে। এ তিনজন ফোকাল পয়েন্ট প্রতিদিন যারা বিদেশ থেকে আসছে, কিংবা বিদেশফেরত যারা কুমিল্লায় নতুন প্রবেশ করছেÑ এবং যারা কোয়ারেন্টাইনের আছে তাদের বিষয়ে আপডেট তথ্য দিবে।

আবুল ফজল মীর বলেন, জেলার প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়নে-ইউনিয়নে ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের প্রত্যেকদিনের অবস্থা যাচাই করছেন। তাদের রিপোর্টগুলো যাচাই-বাছাই করে তিনজন ফোকাল পয়েন্ট আমাদেরকে আমাদেরকে প্রতিবেদন দেবেন। তারা প্রতিদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আপডেট তথ্য সংগ্রহ করবেন। এছাড়াও যে কোনো বিষয়ে (করোনা সংক্রান্ত) ফোগার পয়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করা যাবে।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আতঙ্কিত না হয়ে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিভিন্ন কার্যালয়ের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা আছে; তেমনিভাবে বাড়িতে প্রবেশের পূর্বেও হাত ধুয়ে পরিচ্ছন্ন হতে হবে। সকলের কাছে অনুরোধÑ নিজ উদ্যোগেই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করবেন। যতটুকু সম্ভব ঘরে থাকবেন, জনসমাগমে যাবেন না, অযথা শপিংমলে- মার্কেটে ঘুরবেন না।

জনগণকে বাজার থেকে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত কেনাকাটা না করার আহবান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, বাজারে আমাদের পর্যাপ্ত সর্ববরাহ আছে, পণ্যের অভাব নেই, সাপ্লাই ব্যবস্থাও চমৎকার। তাই অযথা হুড়োহুড়ি করে অতিরিক্ত কেনাকাটার কোনো দরকার নেই।