যেসব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা

ক্ষতিকর কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হওয়ায় অনেকেই ভরসা রাখেন প্রাকৃতিক উপাদানে। কিন্তু ত্বকের ধরন না বুঝে অনেকেই মুখে নানা ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে থাকেন। যা ত্বকের ওপর ইতিবাচক না হয়ে নেতিবাচক প্রভাবই বেশি ফেলে।

না জেনে অজান্তে আমরা যেসব ভুল করে ত্বকের বারোটা বাজাই সেসব ভুলগুলোই আসুন জেনে নিই আজকের আয়োজনে।

১. এসেনশ্যাল ওয়েল: ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে আমরা অনেকেই মুখে আজকাল এসেনশ্যাল ওয়েল ম্যাসাজ করি। তবে বিউটিশিয়ানরা মনে করেন, কোনো ওয়েলই সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়। বরং এ ধরনের তেল অন্য যেকোনো উপকরণের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত।

২. মুলতানি মাটি: ত্বকের সৌন্দর্য, ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে মুলতানি মাটির বিকল্প নেই। তবে সবার জন্য কিন্তু মুলতানি মাটি কাজে আসবে না। যাদের শুষ্ক ত্বক তারা যদি ত্বকে মুলতানি মাটি ব্যবহার করে তবে তাদের ত্বক আরও শুষ্ক ও রুক্ষ্ম হয়ে যাবে। তাই এই উপাদানটি কার্যকরী ও উপকারী গুণ সম্পন্ন হলেও শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা মুলতানি মাটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

৩. লেবু: অনেকেই মুখের দাগ ঝটপট তুলতে নিয়মিত মুখে লেবুর রস ব্যবহার করেন। লেবুতে ভিটামিন সি থাকলেও এটি তে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। তাই ত্বকে সরাসরি এর ব্যবহারে আপনার মুখের লাবণ্য হারিয়ে ফেলবেন আপনি। লেবুর রসে অ্যাসিডিক প্রভাব থাকায় ত্বক কুচকানো বা বলিরেখার মতো সমস্যাগুলো আপনার ত্বকে খুব তাড়াতাড়ি দেখা দিবে। তাই ভুল রূপচর্চায় বয়সের আগেই আপনি বুড়িয়ে যেতে পারেন।

৪. ভিটামিন ই ক্যাপসুল: ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অনেকেই তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফাটিয়ে মাথার ত্বক ও চুলে ব্যবহার করেন। আবার অনেকে ফেসপ্যাকেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল মেশান। তবে এভাবে ত্বক ও চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করার চেয়ে প্রতিদিন একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৩ মাস খাওয়ার অভ্যাসে পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যায়।
৫. হলুদ: রূপচর্চায় সেই প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করার প্রচলন রয়েছে হলুদের। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। তবে তৈলাক্ত ত্বকে কখনই হলুদ ব্যবহার করা যাবে না। এতে র‌্যাশ, ব্রনের উপদ্রব অনেকটাই বেড়ে যায়। যদি হলুদ একান্তই ব্যবহার করতে চান তবে দুধ বা দইয়ের সঙ্গে তা ব্যবহার না করে নিমের সঙ্গে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা