ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় বাংলাদেশ এখন অনন্য উচ্চতায়

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০১৯  

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশ এখন অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে। এক্ষেত্রে এমপিদের অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এমপিরা সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। সঙ্গত কারণে জনগণের নিকট এমপিরা জবাবদিহি করে থাকেন। অন্য দিকে সংসদের কাছে সরকার জবাবদিহি করে। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরত: সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এমপিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারী ফান্ড (আইএমএফ) এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান দাইসাকু কিহারার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। 

সাক্ষাতের সময় তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়নে এমপিদের ভূমিকা ও আইএমএফ এর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী, বাংলাদেশে নিয্ক্তু আইএমএফ এর আবাসিক প্রতিনিধি র‌্যাগনার গুডমুন্ডসনসহ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছর ধারাবাহিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৮.১ শতাংশ। রেমিটেন্স ও রিজার্ভও সমান গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন সেবা পৌঁছে দিচ্ছে বর্তমান সরকার ।তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য বৈষম্য দূর করে দারিদ্রমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জনবহুল বাংলাদেশের একটা বড় অংশই হচ্ছে তরুণ, তাই বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ। তরুণ জনসমষ্টিই ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সুষ্টির জন্য কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতে বিগত দশ বছর কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। ফলে কর্মসংস্থানবৃদ্ধি, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ সর্বোপরি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মানবসম্পদ উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তরুণরা প্রশিক্ষণের সুযোগ পেলে নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরাই তৈরি করতে পারবে। যে কোনো প্রশিক্ষণ দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আইএমএফ এখন এমপি ও তরুণ জনসমষ্টির দক্ষতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ শক্ত অর্থনৈতিক ভীতের ওপর দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থানকে ধরে রাখতে দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজন। আর দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। তিনি আইএমএফ প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে অধিক সংখ্যক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। শিক্ষা শেষে কর্মসংস্থান এবং উদ্বৃত্ত খাদ্য বাজারজাতকরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাই বর্তমান চ্যালেঞ্জ। অতীতের বিদ্যুৎ ঘাটতি মিটিয়ে বর্তমানে ২০ হাজার মেঘাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে তৃণমূল পর্যায়ে শিল্প ও কলকারখানা গড়ে উঠছে।

আইএমএফ প্রতিনিধি প্রধান অর্থনৈতিক উন্নয়নে এমপিদেরকে অধিক সম্পৃক্তকরণের উপায় সম্পর্কে স্পিকারকে অবহিত করেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় দাইসাকু কিহারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রশংসা করেন। 

তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ অনুকরণীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষিসহ অন্যান্য শিল্পে বাংলাদেশ বেশ অগ্রসরমান। তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নে অনেক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।