ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজমিস্ত্রী পরিকল্পনা , অব্যবস্থাপনা এবং হরিলুটের মহোৎসব!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২০  

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় তুলে ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এড. আনিছুর রহমান। তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।

কুমিল্লা সিটি মার্কেট হচ্ছে , টাউন হল মাঠের পূর্বদিকে কান্দির পাড় হতে জিলা স্কুলের দিকে যেতে চিকন যে মার্কেট গড়ে উঠেছে সেটির নাম ! এ মার্কেট তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে , প্রথমে একটি মসজিদ করা হয়েছে , সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে । তারপর বাকি অংশ মার্কেট বানিয়ে — —- ইত্যাদি করা হয়েছে ! মসজিদটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে ঢাল হিসাবে !

এই মসজিদের একশ গজের মধ্যেই নিউ মার্কেটের পাচ তলায় রয়েছে আরো একটি বিশাল মসজিদ , যেটিকে ইচ্ছে করলে আরো অনেক বড় এবং আরো কয়েক তলা করা সম্ভব।
নিউ মার্কেটের উপরের মসজিদে কোন মাইক লাগানো হয়না , যাতে এটি সর্ব সাধারণের নজরে না আসে ! কারন এতে সমালোচনা হবে একশ গজের মধ্যে দুইটি মসজিদ কেন ? সরকারী জায়গায় কেন মসজিদ হলো এসব ।

সিটি মার্কেট নামক এই অবৈধ ভবনটি শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে । এই অবৈধ মার্কেট এবং মসজিদটি এখানে না থাকলে কান্দির পাড় এবং টাউল হল মাঠ অনেক খোলামেলা ও সুন্দর হতো ।
নিউ মার্কেটের সিড়িতে দাড়ালে পুবালী ব্যাংক , টাউনহল মাঠ দেখা যেতো । কান্দিরপাড় ও টাউনহল মাঠটি অনেক মনোরম ও খোলামেলা হতে পারতো ।

সিটি মার্কেট নামক বস্তুটি মূলত একটি ঘিঞ্জি মার্কেট , তিন তলায় গিয়ে এটি মধ্যে করিডোর করে দোকান সংখ্যা দিগুন করা হয়েছে । এই ঘিঞ্জি মার্কেটে কেউ একবার উঠলেই আর দ্বিতীয় বার যেতে চাইবেনা ।

এ মার্কেট শত চেস্টায়ও সচল করা যায়নি । যারা দোকান কিনেছেন , তারা ভাড়াও দিতে পারছেন না । অযথাই সরকারের দশ কোটি টাকা নস্ট হয়েছে ।

এখন আবার ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নিউ মার্কেটের সাথে সংযোগ সেতু করার পরিকল্পনা হচ্ছে !
নিউ মার্কেটটিও অপরিকল্পিত ভাবে নোংরা ডিজাইনে করা হয়েছে । মার্কেটের করিডোরের জানালা বন্ধ করে দোকান করা হয়েছে !। দোকান সংখ্যা বৃদ্ধি করতে গিয়ে মার্কেটটিকে ঘিঞ্জি করে ফেলা হয়েছে। তাই এ মার্কেটটিও ব্যবসা সফল হয়নি।

টাকা খরচ করে একটা শহরকে কতোটা অসুন্দর করা যায় , কুমিল্লা শহর না দেখলে এটা কেউ বুঝতে পারবেনা । পাকা সুবিশাল ডাষ্টবিন করে এখানে সংরক্ষণ করা হয় আবর্জনা ।
এই আবর্জনা ফেলে রাখা হয় খোলা আকাশের নিচে , এতেকরে পরিবেশ দূষণ ও বায়ু দূষণ হচ্ছে । বর্জ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা সাড়া দুনিয়ায় আছে । এখানে সে মেশিন গুলো কিনে আনলেই হয় ! কিন্তু এসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা !

কুমিল্লা শহর এখন বিজ্ঞাপনি সাইনবোর্ডের শহর । এতো বিল বোর্ড পৃথিবীর আর কোন শহরে সম্ভবত নাই ।রাস্তার মাঝে ষ্টিল দিয়ে ডিভাইডার করে , বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছে । সুস্থ রুচির মানুষ যা কল্পনাও করতে পারেনা । এ শহরে ড্রেন থেকে কাদা তুলে রাস্তার পাশে সুকানো হয় !!! এটি যেন দুইশ বছর আগের কোন নগরী !! শহরের সর্বত্র ডিস লাইনের জঞ্জাল !

হাটার জন্য ফুটপাথ নেই বললেই চলে । যেগুলো আছে সেগুলো সর্বোচ্চ চার ফুট প্রশস্ত। তিনজন মানুষ হেটে গেলে , উল্টা দিক থেকে একজনের হেটে আসার উপায় নেই । ফুটপাথ হওয়া উচিৎ ছিল কমপক্ষে পনের ফুট প্রশস্ত ।

ড্রেন হয়েছে যেখানে যতটুকু যায়গা পাওয়া যায় ভিত্তিতে । সিটি কর্পোরেশনের জায়গার কি কোন ম্যাপ বা হিসাব নেই ? ডিস টেলিফোন ইন্টারনেট লাইনের স্তুপ শহরের সর্বত্র !

রাস্তা ঘেষে গড়ে উঠছে সুউচ্চ ভবন । ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্ত করার ব্যবস্থা সংকুচিত হচ্ছে , বাড়ছে জনজট । দিনে দিনে তাই বেড়ে চলেছে যানজট । অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মানের কারনে বাড়ছে জলজট ।

এ শহরে এমন সব গলি আছে , যে সকল রাস্তায় উল্টা দিক থেকে গাড়ী আসলে , একটি গাড়ী কোথাও দাড়িয়ে , অন্যগাড়ী যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয় । বস্তি এলাকার গলি থেকে মৃত মানুশের লাশ বের করাও কঠিন !

শোনা যায় সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত দায়িত্ব প্রাপ্তদের অনেকেই প্ল্যান পাস বানিজ্যে নিয়োজিত আছেন । এ কাজে মোটা অংকের লেনদেন হয় । টাকা যখন কথা বলে , তখন অনিয়ম প্রশ্রয় পাবেই । বহু সুউচ্চ ভবন যতই উপরে উঠেছে , ততোই স্বাস্থ্যবান হয়েছে !!

আগামী দশ বছরের মধ্যে এ শহরটি বসবাসের উপযোগিতা হারাবে , যদি এখনই সঠিক পরিকল্পনা নেয়া না যায় , কারন ইতিমধ্যেই যথেষ্ট দেরী হয়ে গেছে ।