ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাতারাতি ১৪ কোটি টাকার মালিক দিনমজুর

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

দিনমজুর পি রঞ্জন ব্যাংকে ঋণের জন্য চারবার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু চারবারই তার আবেদন নাকচ করে দেয় ব্যাংক। জানুয়ারিতে শেষবারের মতো তার আবেদন নাকচ হওয়ার পর বাড়ি আসার পথে তিনি বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে ব্যাংকের একটি লটারি কিনে আনেন। এ লটারিতেই তিনি জিতে নিলেন ১২ কোটি রুপির ( ১৪ কোটি টাকা ) সর্বোচ্চ পুরস্কারটি।
ভারতের কেরালা রাজ্যের কান্নুর জেলার কুথুপারাম্ভা শহরের বাসিন্দা রঞ্জন গত বছরই তার বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। মেয়ের বিয়েতে খরচের জন্য তার বিশাল অঙ্কের ধা’র-দেনা জমে ছিল। 

পাশাপাশি তার বাড়ি তৈরির কাজ অর্ধেক সমাপ্ত হবার পর অর্থের অভাবে থেমে গিয়েছিল। অর্থের জন্য তার ছেলেকে পড়ালেখা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। ছোট মেয়ে এবার মাধ্যমিকে পড়াশুনা করছে। 

অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অভাবকে সাময়িকভাবে দমনের জন্য ব্যাংকে ঋণের আবেদন করেন তিনি। একে একে চারবার আবেদন করলেও প্রত্যেকবারই ব্যাংক তার আবেদন নাকচ করে দেয়।

সোমবার লটারির এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সর্বোচ্চ পুরস্কারের দাবি করে কোনো লটারি ক্রেতাই সেদিন হাজির হননি।

পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে রঞ্জন তার টিকেট নাম্বার লিখে কাছাকাছি এক দোকানে যান তার কেনা লটারির বিপরীতে কোনো পুরস্কার আছে কিনা তা দেখতে।

তাকে বিস্মিত করে দোকানি জানায়, তিনশ রুপি দিয়ে তার কেনা এসটি ২৬৯৬০৯ নম্বরের টিকেটটি লটারিতে সর্বোচ্চ পুরস্কার ১২ কোটি রুপি জিতে নিয়েছে।

রঞ্জনের স্ত্রী রজনী জানান, তার স্বামীর লটারি কেনা নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। কিন্তু এবারের লটারি নিয়ে ঝগড়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

রঞ্জন বলেন, স্ত্রীকে যখন তিনি লটারি জেতার খবর দেন তখন তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি। পরে লোকজন তাকে অভিনন্দন জানাতে এলে রজনী বুঝতে পারেন।

রঞ্জন জানান, লটারির এ টাকা থেকে প্রথমে তিনি সাত লাখ রুপি দেনা শোধ করবেন এবং তার অর্ধেক শেষ করা বাড়ির কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ করবেন।