লাকসামে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগ

থানার আঙ্গিনায় খেলা করছিল ৫ বছরের নুশরাত জাহান আর সাড়ে ৩ বছরের ইশরাত জাহান। পাশেই সিএনজি অটোরিকশায় পড়ে আছে পিতার লাশ। দু’শিশু আপন মনে খেলাধুলা করলেও তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বজন আর আশপাশের লোকজনের হায়-হুতাশ, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
রোববার দুপুরে শিশুদের পিতা মনির হোসেন গাজীর (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে লাকসাম থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নিহতের মা আমেনা বেগম জানান, পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক মনির শনিবার রাতে ঢাকা থেকে ফিরে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ঘরের জানালা দিয়ে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ ঝুলে আছে। পরে পুলিশ মনিরের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহতের বড়ভাই আমির হোসেন জানান, সাড়ে ৩ মাস আগে মনির গাজীর স্ত্রী সুরমা আক্তার (২৩) পরকীয়ায় জড়িয়ে ২ শিশু সন্তানকে রেখে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। সন্তানদের দিকে তাকিয়ে তাকে ফেরাতে মনির নানাভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। রোববার সকালে মনিরের স্ত্রী সুরমা আমাদের এলাকার মিজান কবিরাজকে জানায়- মনির হোসেন গাজীর মৃত্যু হয়েছে। পরে মিজান কবিরাজ এ খবর জানতে গেলে ঘটনা জানাজানি হয়। ধারনা করছি- সে ভিডিও কলে ছিল। তাকে ফেরানোর জন্য ভয় দেখাতে গিয়ে সত্যিই আত্মহত্যা করে বসে।
সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের মা আমেনা বেগম লাকসাম থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।