লুটপাট আর দুর্নীতিই বিএনপির অর্জন!

বিএনপির অপশাসন মানুষ ভুলে যায়নি। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের লালন-পালন করা হয়েছিল। দেশের জন্য তাদের কোনো অর্জন নেই। তাদের অর্জন লুটপাট আর দুর্নীতি। তাদের সময়ে দেশ কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এসব কারণে জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয় না। তাই তারা আন্দোলন-সংগ্রামে সফল হতে পারছে না। এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ও সুশীল সমাজ।

তারা বলেন,  বিএনপি ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করার অপচেষ্টা চালায়। যদিও জনগণ তাদের সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। এরপর থেকে যখনই সময় পেয়েছে তখনই দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যস্ত থেকেছে। জনগণের জন্য তাদের কোনো অর্জন নেই। তাদের কার্যক্রম ও অর্জন লুটপাট ও দুর্নীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ।

 ২০০১-০৫ সাল পর্যন্ত সবশেষ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয় বিএনপি সরকার।  তারপর প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে। এতোকিছুর পরেও জনগণের জন্য রাজনীতি করতে শিখলো না তারা। এখনো তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত।

এ বিষয়ে বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, একটি বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির কাছেও জনগণের অনেক প্রত্যাশা আছে। তবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপি কতটুকু সফল? প্রতিটি দুর্যোগেই বিএনপি সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত সময় পার করে। 

তারা আরো বলেন, সম্প্রতি করোনা ও বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের জনগণ বিএনপির কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করেছিল। তবে তারা সরকারের সমালোচনা ছাড়া এখন পর্যন্ত জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে শুধু চাওয়া-পাওয়ার রাজনীতি। এখানে জনগণের জন্য কিছু নেই। তাদের রাজনীতি শুধু ক্ষমতার রাজনীতি। ফলে জনগণ তাদেরকে আজও বিশ্বাস করে না। কোন আন্দোলন-সংগ্রামে সাড়া দেয় না।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দলটির সিনিয়র দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেন, জনগণের আস্থা অর্জনে বিএনপি অনেক সুযোগ হারিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি শুধু চাওয়া-পাওয়ার রাজনীতি, পদ-পদবির রাজনীতি। এখানে জনগণের জন্য কোনো কাজ করা হয় না বা জনগণের অধিকার আদায়ে কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম করা হয় না। এ কারণে জনগণও দিন দিন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।