শখের বসে হেলপার হতে গিয়ে লাশ হলো কলেজ ছাত্র

শখের বসে পিকআপ ট্রাকের হেলপার হতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো আঃ কাদের (১৭)। গত বৃহস্পতিবার সকালে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কে পিকআপ ট্রাক আর বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সকালে মারা যায় কাদের। নামাজী, ভদ্র আর ভালো ছাত্র হওয়ার কারণে তার মৃত্যুতে এলাকাবাসীসহ তার সহপাঠীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। শুক্রবার বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয় কাদেরকে। সে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ছয়ছিলা তালুকদার বাড়ির হান্নান তালুকদারের বড় ছেলে। তারা ২ ভাই ২ বোন।

কাদের যে স্কুল এ- কলেজ পড়ে সেই আনোয়ার আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারেরর সদস্য চাঁদপুর জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডঃ মোঃ ইমাম হোসেন টিটু জানান, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে মানবিক শাখায় ভর্তি হয় আঃ কাদের। এসএসসিতে জিপিএ-৪.৫ পেয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে আঃ কাদেরের প্রতিবেশী পিকআপ ভ্যান চালক রহিমের সাথে নিতান্ত শখের বশে হেলপার হিসেবে কাজ করতে যায় কাদের। গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি করে কাদেরের পিকআপ ভ্যান হাজীগঞ্জ বাজার পার হয়ে রামগঞ্জের দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যে হাজীগঞ্জের ধোয়াগন্ডা নামক এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী আল-আরাফাহ পরিবহনের একটি বাস দ্রুত গতিতে এসে পিকআপ ভ্যানটিকে সজোরে আঘাত করে। এতে করে পিকআপ ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় কাদের মারাত্মক আহত হয়। সেখান থেকে কাদেরকে পুলিশ উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েপাঠায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে বিকেলের মধ্যে ঢাকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রায় চবি্বশ ঘন্টা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় মারা যায় সে।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের ধোয়াগন্ডা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বহনকারী পিকআপ ভ্যান ও আল-আরাফাহ পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। আল-আরাফাহ বাসটি ঢাকা যাওয়ার সময় ও পিকআপ ভ্যানটি গ্যাসের সিলিন্ডার নিয়ে রামগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর পর পুলিশ ও স্থানীয়রা আহত কাদের ও পিকআপ চালক রহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত দু'টি গাড়িকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, পিকআপ ভ্যান ও বাস আমাদের হেফাজতে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মামলা করলে তাদেরকে পূর্ণ সহায়তা করা হবে।