শব্দদূষণে কুমিল্লাবাসী
কুমিল্লার ধ্বনি
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
বড় হচ্ছে কুমিল্লা শহর; বাড়ছে রাস্তাঘাট, যানবাহন, দোকানপাট, বাড়িঘর, অট্টালিকা, মানুষজন আর সেইসাথে বাড়ছে হইচই, কোলাহল, হট্টগোল। নতুন উন্নয়য়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে জনজীবনে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যাও। কুমিল্লাবাসীর ব্যস্ত জীবনযাত্রায় আজ আরেক আতঙ্কের নাম শব্দদূষণ। নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে মানুষের শ্রবণশক্তির সহনশীলতার সীমা ছাড়িয়ে শব্দের মাত্রা দিন দিন দূষণে পরিণত হচ্ছে। কেউ বুঝতে না পারলেও নীরবে মানুষের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিসাধন করছে উচ্চমাত্রার শব্দ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সাধারণ মানুষের জন্য প্রযোজ্য সুরক্ষিত শব্দমাত্রা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবল। সাধারণত ৬০ ডেসিবলের শব্দ মানুষকে সাময়িকভাবে বধির করে দিতে পারে। আর ১০০ ডেসিবল মাত্রার শব্দ সম্পূর্ণ বধিরতা তৈরি করতে পারে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল ইসলাম নগরীর ব্যস্ত এলাকাগুলোতে শব্দমাত্রার পরিমাপ করেন। এ সময় এ প্রতিবেদকও তার সঙ্গে থেকে শব্দদূষণের মাত্রা সরেজমিন প্রত্যক্ষ করেন। দেখা যায়, নগরীর কান্দিরপাড়ে নিউ মার্কেটের সামনে শব্দের মাত্রা সর্বোচ্চ ৯০ ডেসিবল ও সর্বনিম্ন ৭৫ ডেসিবল, লিবার্টি মোড়ে সর্বোচ্চ ৯৩ ডেসিবল ও সর্বনিম্ন ৭৯ ডেসিবল, পূবালী চত্বরে সর্বোচ্চ ৯২ ডেসিবল থেকে সর্বনিম্ন ৮১ ডেসিবল। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, কান্দিরপাড় বাণিজ্যিক এলাকা এবং সে হিসেবে এই এলাকায় দিনে ৭০ ডেসিবল এবং রাতে ৬০ ডেসিবল শব্দমাত্রা থাকতে পারে।
এই এলাকাতেই ব্যাটারিচালিত রিকশার ইলেকট্রিক হর্নের এক বিপে ৯০ ডেসিবল মাত্রা এবং সিএনজি অটোরিকশা থেকে ৮৫ ডেসিবল মাত্রার শব্দ তৈরি হয় বলে পরীক্ষায় ধরা পড়ে। শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে এসব যানবাহনের যে আধিক্য, তাতে এগুলো যে প্রতিনিয়ত উচ্চমাত্রার শব্দদূষণ করে চলেছে, তা শতভাগ নিশ্চিত কওে বলা যায়।
কুমিল্লার বেশিরভাগ ব্যস্ত এলাকাকে যদি বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে, তবে সেসব এলাকায় যেসব মানুষ খোলা পরিবেশে চলাচল করে বেশি, তারা ইতিমধ্যে অসহনীয় মাত্রার শব্দ সহ্য করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। শুধু কান্দিরপাড় এলাকায়ই যদি গড় শব্দমাত্রা দিন এবং রাতের মাঝামাঝি সময় সহনীয়তার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তবে চকবাজার, রাজগঞ্জ, শাসনগাছা, টমছম ব্রীজ, পদুয়ারবাজারের মতো জনবহুল এলাকাগুলোর যে একই দশা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কান্দিরপাড় লিবার্টি মোড়ের ব্যবসায়ী ও বাইকার মালেক খসরু উষা বলেন, হাইড্রোলিক আর ইলেকট্রিক হর্নের শব্দের মাত্রা প্রায় একই। লিবার্টি মোড়ে যে মাত্রায় শব্দ হয়, আমরা যারা এখানে সবসময় থাকি তাদের ‘মাথা খারাপ’ অবস্থা। যারা যানবাহনের মালিক, তাদের এই বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। তা না হলে দিন দিন পরিবেশের অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-কুমিল্লার কোষাধ্যক্ষ রেজবাউল হক রানা বলেন, যেহেতু কুমিল্লায় নগরায়ন বাড়ছে, সেদিকে খেয়াল রেখে শব্দদূষণের মতো সমস্যাগুলো সিটিকর্পোরেশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কুমিল্লাকে আমরা যদি বাসযোগ্য নগরী বলে পরিচিত করতে চাই, তাহলে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি।
পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, কুমিল্লা নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে শব্দের মাত্রা বাড়ছে। হাইড্রোলিক হর্ন নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে, এছাড়া উচ্চমাত্রার যে কোনো হর্ন আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। কুমিল্লা নগরীতে একটি নীরব এলাকা তৈরির জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বিতভাবে আমরা কাজ করছি।
বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উচ্চমাত্রার শব্দ জনসাধারণের মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ। এটি উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ হৃদস্পন্দন, মাথ্যাব্যথা, বদহজম ও পেপটিক আলসার সৃষ্টির কারণ, এমনকি গভীর ঘুমকেও ব্যাহত করছে। যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো স্থানে আধাঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে ১০০ ডিবি বা তার বেশি শব্দদূষণের মধ্যে থাকলে তিনি বধির হয়ে যেতে পারেন। উচ্চমাত্রার শব্দের কর্ম পরিবেশে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে যেকোনো ব্যক্তির সম্পূর্ণ বধিরতা দেখা দিতে পারে। যেকোনো ধরনের শব্দদূষণ গর্ভবতী মায়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলেও চিকিৎসকরা জানান।
- জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যু
- একক প্রার্থী দিতে সমঝোতা বৈঠক, আলোচনায় ৩ কোটি টাকা
- ফেনীতে ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ২২ বছর পর গ্রেপ্তার
- ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৭
- ভাসানচরে বাগানে পড়েছিল রোহিঙ্গার রক্তাক্ত লাশ
- সরাইলে মাটিকাটা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০, আটক ২০
- এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ভাসছিল শিশুর মরদেহ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় রিকশার যাত্রী নিহত
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯ উপজেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
- হাজীগঞ্জে প্রতিবন্ধীর বাগানের বিভিন্ন ফল ফলাদি গাছ কর্তনের অভিযোগ
- রেমিট্যান্স উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
- চাঁদপুরে পূবালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তা বদলি
- সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনেও সংস্কৃতির পূর্নজাগরত প্রয়োজন ডা.দীপুমনি
- ইরানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
- মতলব উত্তরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণ
- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী
- মুরাদনগরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
- দাউদকান্দিতে নির্দেশনা অমান্য করে ওষুধের দোকান খোলা
- সিএনজি ভাড়া তিন গুণ ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের নির্বাচন করতে মানা-প্রধানমন্ত্রী
- বরুড়ায় পানিতে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
- অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে সেবা দিতে পারবেন না নিবন্ধিত চিকিৎসকরা
- লালমাইয়ে যুবকের আত্মহত্যা
- ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির
- গণমানুষের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য
- ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ফেসবুকে লাইভ করায় চাকরি হারালেন এসপি
- মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না
- ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির
- ফলের আড়তের লকার ভেঙে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লুট
- ফেনীতে ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ২২ বছর পর গ্রেপ্তার
- কালোবাজারে ট্রেনের ৮৫ টাকার টিকিট ৫০০ টাকা
- লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
- ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আয়োজিত হল কিচ্ছার আসর
- দাউদকান্দিতে বিধিবহির্ভূতভাবে চালানো ওষুধের দোকান ১১ বছর পর বন্ধ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ২০
- ইরানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
- মতলবে সালিশ বৈঠকে সাবেক মেম্বারকে ঘুষি দিয়ে হত্যা
- ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ
- মতলবে দম্পতির মনোনয়নপত্র দাখিল, স্বামীর বিরুদ্ধে যা বললেন স্ত্রী
- কুমিল্লায় অস্ত্র-কার্তুজসহ যুবক গ্রেফতার
- ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচনে ১২ জনের মনোনয়নপত্র জমা
- ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৭
- চাঁদপুরে ব্যাভিচারের মামলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড
- তিতাসে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি
- চান্দিনা বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ছাই