ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিশু ছাত্রকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বলৎকার করলেন শিক্ষক!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় বারো বছরের এক মাদরাসা ছাত্র বলৎকারের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক মো. ইয়াছিন আরাফাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান। 

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মতিগঞ্জ ইউপির সাতবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। 

এ ঘটনায় দুপুরে শিশুর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক ইয়াছিন আরাফাতকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াছিন আরাফাত নোয়াখালী জেলার সুর্বণ উপজেলার চর জব্বর থানাধীন চর বৈশাখী এলাকার বাসিন্দা। 

গত ১৮ জানুয়ারি শনিবার রাতে মাদরাসার ছাত্রাবাসে ওই শিশু বলৎকারের শিকার হলেও পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানেন দুই দিন পর। ওই দিন রাতে শিশুটি মাদরাসা ছাত্রাবাসে অন্য ছাত্রদের সঙ্গে রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে মাদরাসা শিক্ষক ইয়াছিন আরাফাত শিশুদের কক্ষে ঢুকে ওই শিশুকে ঘুম থেকে ওঠিয়ে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে মুখ চেপে বলৎকার করেন।

ঘটনাটি কাউকে না বলতে তাকে হুমকি দেয়াসহ শপথ করায় ইয়াছিন। সকালে শিশুটি ঘুম থেকে ওঠে কাউকে কিছু না বলে মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে সন্ধ্যায় শিশুটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে শিশুটি বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়। পরদিন তারা মাদরাসায় এসে পরিচালনা পর্ষদের লোকজনের কাছে অভিযোগ করেন।

দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় গত সোমবার বিকেলে ওই শিশুর অভিভাবকরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি শিশুর পরিবারকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন।

কয়েকজন ছাত্র জানায়, গত এক বছরের শিক্ষক ইয়াছিনের হাতে প্রায় ১০জন ছাত্র বলৎকারের শিকার হয়েছে। ভয়ে কোনো ছাত্র তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পেতো না। তাই তারা মাদরাসা থেকে পালিয়ে যেতো।

মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, কমিটির সদস্যরা একত্র হতে না পারায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি হয়েছে। পরে মামলা হওয়ায় তাকে মাদরাসা থেকে চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া চলছে।  

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বলেন, ঘটনাটি ওই শিশুর পরিবারের কাছ থেকে শুনে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি অভিযুক্ত শিক্ষককে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শিক্ষক ঘটনার দায় স্বীকার করায় থানা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ শিক্ষক ইয়াছিনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো.বেলায়েত হোসেন বলেন, বুধবার ফেনী সদর হাসপাতালে শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। পরে তাকে ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য হাজির করা হবে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াছিন আরাফাত ঘটনা স্বীকার করেছেন। বুধবার তাকে ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হবে।