ব্রেকিং:
মোবাইল ব্যাংকিং: ২২ কোটি গ্রাহকের লেনদেন ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ইসরায়েলে হামলার পর বাইডেনকে ফোন দিলেন নেতানিয়াহু ৩১ দিন পর বাংলাদেশি সেই ২৩ নাবিক মুক্ত তরুণ-তরুণীর ধস্তাধস্তির ভিডিও ভাইরাল, কারা তারা? তরমুজের গায়ে এবার ‘মৌসুম শেষের’ হাওয়া, বেড়েছে দাম চালক-সুপারভাইজারের মৃত্যু নিয়ে গল্প সাজিয়েছেন হেলপার: পুলিশ এবার কুকি-চিনের সহযোগী লাল বম গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ৫০ বস্তা চিনিসহ আ.লীগ নেতা আটক কেএনএফের ৩ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪ ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড় সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার প্রকাশ, ধনীদের তালিকায় বাংলাদেশের আজিজ খান ইতালি থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সম্মাননা পেলেন ৫ বাংলাদেশি বিএনপির ‘বয়কট ভারত’ আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস ভাড়া কমিয়ে প্রজ্ঞাপন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে জামায়াতের অনুসারী বেশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কুমিল্লা উত্তর জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড কয়েকটি গ্রাম মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশ: অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সিট বাতিল
  • মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিশু ধর্ষণের ঘটনা আপোষ না করায় ভুক্তভোগীর ঘরে তালা,মারধোর

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২০  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার শিমরাইলকান্দি এলাকায় সাত বছরের শিশুকে চিপস খাইয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম কানু মিয়া(৫০)।সে ভুক্তভোগীর পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং পেশায় রিক্সাচালক।ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি মীমাংসা করতে রাজি না হওয়ায় তাদেরকে মারধর করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিক ও মিজান মিয়ার বিরুদ্ধে।


 
ভুক্তভোগী শিশুটি শিমরাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। শিশুটির মা একই এলাকার বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১শে নভেম্বর শনিবার বিকেলে শিমরাইলকান্দি খাদ্য গুদাম সংলগ্ন কুমারপাড়ায়। শিশুটি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।


 
ভুক্তভোগীর মা জানান, ঘটনার দিন বিকেলে তিনি একই এলাকার একটি বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতে গিয়েছিলেন এবং তার স্বামী রিক্সা নিয়ে বের হওয়ায় বাড়িতে তার মেয়ে একা ছিল।শিশুটি বাড়ির উঠোনে খেলাধূলা করার সময় প্রতিবেশী কানু মিয়া তাকে চিপস এবং বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করার চেস্টা করে।শিশুটি চিৎকার শুরু করলে সে একহাতে শিশুটির মুখ চেপে ধরে এবং অন্য হাতের আঙুল দিয়ে শিশুটির যোনিপথে দীর্ঘক্ষন নাড়াচাড়া করে। কিন্তু শিশুটির চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষজন চলে আসলে মানুষজনের উপস্থিতি টের পেয়ে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। শিশুর মা আরও বলেন,তিনি খবর পেয়ে বাড়িতে আসার পর তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ির মালিক মিজান মিয়া এবং তার স্ত্রী ইতি বেগম তাকে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে সকল ধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দেন।

কিন্তু ঐদিন রাতেই বাড়ির মালিক মিজান মিয়া শিশুটির বাবাকে ডেকে নিয়ে ঘটনাটি কানু মিয়ার সাথে মিটমাট করে ফেলতে বলেন এবং প্রয়োজনে ক্ষতিপূরন ও চিকিৎসা বাবদ কিছু খরচপাতির ব্যাবস্থা করে দিবেন বলে জানান।শিশুটির বাবা তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করতে রাজি না হওয়ায় বাড়ির মালিক মিজান মিয়া তাকে গালিগালাজ করেন এবং বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে কিংবা থানায় অভিযোগ দিলে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন।


 
সোমবার সকালে মিজান মিয়া তাকে পুনরায় ডেকে পাঠান এবং মীমাংসার বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানতে চান।ভুক্তভোগীর বাবা আক্তার হোসেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত জানালে মিজান মিয়া তার উপর ক্ষিপ্ত হোন এবং তার পরিবারের সবাইকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন।

অভিযুক্ত কানু মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে এবং কানু মিয়াকে আশ্রয়, ভুক্তভোগীকে মারধর ও মামলা করতে বাধা দেয়ার অভিযোগে বাড়ির মালিক মিজান মিয়া ও তার স্ত্রী ইতি বেগমকে আসামি করে সোমবার রাতেই সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির পিতা আক্তার হোসেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে সোমবার রাতে পুলিশ তার অভিযোগ আমলে নেয়নি। কিন্তু ২৪শে নভেম্বর মঙ্গলবার শিশুটি যোনিপথে তীব্র ব্যাথা অনুভব করলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা মীমাংসা না করায় গ্রামছাড়া হওয়া এবং সাধারণ রিক্সাচালক বিধায় থানায় মামলা করতে না পারার বিষয়টি হাসপাতালে থাকা কেউ একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যম ও পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব আব্দুর রহিম অভিযুক্তের বাড়িতে পুলিশ প্রেরণ করেন এবং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর ভুক্তভোগীর মা আকলিমা বেগমকে থানায় ডেকে এনে পুনরায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।কিন্তু সোমবার শিশুটির বাবা আক্তার হোসেনের দেয়া অভিযোগ কেন গৃহীত হলো না সে বিষয়ে থানা থেকে কোন স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


তাছাড়াও,প্রধান আসামি কানু মিয়াকে আশ্রয় দেয়া এবং পালাতে সহায়তাকারী মিজান মিয়া ও তার স্ত্রী ইতি বেগমের বিরুদ্ধে শিশুটির মা অভিযোগ দিতে চাইলেও থানা কর্তৃপক্ষ কানু মিয়া ছাড়া আর কারও নামে অভিযোগ নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে।

শিশুটির মা বলেন,মিজান মিয়া স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তার নাম মামলার এজাহার থেকে বাদ দিতে চাচ্ছে অথচ মীমাংসায় রাজি না হওয়ায় বাড়ির মালিক মিজান এবং তার স্ত্রী ইতি বেগম তাদেরকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেয় এবং মূল অভিযুক্ত কানু মিয়াকে নিরাপদে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।আকলিমা বেগম প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও তাদের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেন।


 অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, আমরা বাদীপক্ষের অভিযোগটি হাতে পেয়েছি।ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাবার পর অভিযুক্ত কানু মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।