সংস্কারের অভাবে সড়কের বেহাল দশা

দক্ষিণ বরুড়ার উপজেলা সদরের সাথে প্রবেশদার হিসেবে পরিচিত বরুড়া ভাউকসার সড়কের বেহালদশায় এই পথে চলাচল কারীদের মারাত্বক অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সড়কের বেশির ভাগ স্থানে রাস্তার খুব বাজে অবস্থার কারণে নিয়মিতই ঘটছে দূর্ঘটনা , বরুড়া বাজারের পাঁচশত গজ দক্ষিণে পাঠানপাড়া বড়পোল সংলগ্ন টিক্কালা পুকুর পাড় প্রায় তিন ফুট ডেবে যাওয়ায় এখানে দূর্ঘটনা একটি নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িছে, যেকোন মুহুর্তেই ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা নিয়েই যাতায়াত করছে দৈনিক হাজার হাজার মানুষ।

এই পুকুরে ভাঙ্গনের ব্যাপারে পথচারিরা বলেন পুকুরে মাছ চাষের ফলে এই ভাঙ্গনের ঘটনা শুরু হয়েছে। এই সড়কটি দিয়ে রেহেনা কারিগরী কলেজের সহস্রাধীক শিক্ষার্থীর একমাত্র চলাচলের এই পথে বিরম্বনার আরেক নাম রাস্তার মাথার নিয়মিত ”যানজট ” যার প্রধান কারণ অবৈধ সিএন জি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার ষ্ঠ্যান্ড।

এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী গালিমপুর , ভাউকসার ও পয়ালগাছা ইউনিয়নের সাধারণ যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া । এই রাস্তা দিয়ে বর্তমানে বরুড়া থেকে মুদাপ্পরগঞ্জ, বরুড়া থেকে শাকপুর /নরিংপুর, বরুড়া বিজড়া , বরুড়া ভাউকসার রোডে বর্তমানে আনুমানিক তিনশত সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চলাচল করছে।

এই রোডের পাঠানপাড়ার কামলা বাড়ি সংলগ্ন রাস্তা সম্পূর্ন নষ্ট হয়ে গেছে, এ ছাড়াও বড়িয়া এলাকার রেহেনা কারিগরী কলেজে সামনে, জোড়পুকুরীয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তা, দক্ষিণ পোল ,অশ্বদিয়া বাজার, বিজড়া রাস্তারও বিভিন্ন স্থানে চলাচলের অনুপোযুক্ত হয়ে পড়েছে।

২০১৪ সালে সংস্কারের পর চরম অবহেলায় পড়ে আছে ভৌগলিক ভাবে বরুড়ার উপজেলার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। এ ব্যাপারে বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফুয়াদ আহসান জানান, তিনি ইতিমধ্যেই বিষয়টি অবগত হয়েছেন এবং বিষয়টি গুরুত্বের সহিত গ্রহণ করেছেন। দুই একদিনের মধ্যেই গঠনাস্থলে টিম পাঠাবেন তারপর উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সমাদানের ব্যবস্থা করবেন।