ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধ বাবা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২২  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় কফিল উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধকে তার স্ত্রী ও ছেলে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, কফিল উদ্দিনকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন শেষে ট্যাংকের সঙ্গে (শরবত) চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে তাকে অচেতন করে অচেতন অবস্থায় তার টিপসই নিয়ে কিছু সম্পত্তি ছেলে তার নামে লিখে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন কফিল উদ্দিন।

স্ত্রী ও ছেলের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বকফিল উদ্দিন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তার উপর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও ছেলে সাইদুল ইসলামের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন কফিল উদ্দিন।

কফিল উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ ২৬ বছর তিনি কুয়েতে প্রবাস জীবন কাটিয়ে গত ২০১৯ সালে দেশে ফিরে আসেন।

সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কফিল উদ্দিন বলেন, ২৬ বছর কুয়েতে চাকরি করে তিনি এলাকায় চারটি বাড়ি, স্থানীয় বাজারে ১টি দোকান ও ১৭ কানি (৩০ শতকে ১ কানি) জমি কিনেন। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েও বর্তমানে তিনি নিঃস্ব। তার দেখাশোনার কেউ নেই। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কফিল উদ্দিন বলেন, ১৯৮৯ সালে চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে তার বড়ভাই আবদুল মজিদ মারা যান। পরে আত্মীয়-স্বজনদের অনুরোধে ১৯৯২ সালে তিনি বড় ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী হোসনে আরা বেগমকে বিয়ে করেন। তিনি তার বড় ভাইয়ের ৫ সন্তানকে পিতৃস্নেহে মানুষ করেন। এর মধ্যে তারও এক ছেলে সন্তান জন্ম হয়। ছেলের নাম রাখেন সাইদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমি আমার নিজের টাকায় বড় ভাইয়ের এক ছেলেকে ইতাতি, দুই ছেলেকে কুয়েত ও ১ ছেলেকে সৌদি আরব পাঠিয়েছি। নিজের ছেলে সাইদুলকে ১২ লাখ টাকা খরচ করে বাঞ্ছারামপুরেই কাপড়ের দোকান করে দিয়েছি। কুয়েতে চাকরিকরাকালীন সময়ে প্রতিবারই তিনি ছুটিতে দেশে এসে জায়গা-জমি কিনেছেন। ২৬ বছর কুয়েতে চাকরি করে এলাকায় চারটি বাড়ি, স্থানীয় ধারিয়ারচর বাজারে একটি দোকান এবং ১৭ কাণি জমি কিনেছি। ২০১৯ সালে কুয়েত জীবন শেষ করে দেশে ফিরে আসি।

তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ ছুটিতে দেশে এসে একটি জমি কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। স্ত্রী জমি কিনেনি। তার কাছে টাকার হিসাব চাইলে হিসাব না দিয়ে উল্টো তার এবং আমার ছেলে সাইদুলের নামে জায়গা-সম্পত্তি লিখে দিতে চাপ দিতে থাকে। তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমি ভাগনের বাড়িতে চলে যাই।

গত সাড়ে ৫ মাস আগে ছেলে ভাগনের বাড়ি থেকে জোর করে ধরে এনে ঘরে আটকে রেখে সস্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে আমাকে চেতনানাশক মেশানো ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে টিপসই নিয়ে কিছু সম্পত্তি তাদের নামে লিখে নেয়। এ ঘটনায় আমি বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। এরপর থেকেই আমি বাড়িছাড়া। পরবর্তীতে গত ৩ জানুয়ারি আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করি।

তিনি বলেন, নিজের সহায় সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আজ পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আমি আমার সম্পত্তি ফিরে পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের সহযোগিতা ও তার উপর নির্যাতনের বিচার দাবি করছি।

এ ব্যাপারে কফিল উদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাবাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ও সম্পত্তি লিখে নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, বাবা নিজের ইচ্ছাতেই আমাদেরকে সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন। সম্পত্তির জন্য বাবাকে কখনো নির্যাতন করিনি।

বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি রাজু আহাম্মেদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।