ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সরকারি সব অফিসে বসছে জীবাণুনাশক টানেল ও থার্মাল স্ক্যানার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২০  

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও ব্যাপক বিস্তার রোধে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সব সরকারি অফিসে জীবাণুনাশক টানেল ও থার্মাল স্ক্যানার বসানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি সোমবার (১১ মে) সব সরকারি অফিসে পাঠানো হয়। চিঠিতে এসব স্বাস্থ্য নির্দেশনা পরিপালন করা হচ্ছে কিনা, সেটি নজরদারির জন্য একটি ভিজিল্যান্স টিম গঠনের কথাও বলা হয়েছে। 

জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় গত ২৮ মার্চ দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহযোগিতার জন্য আটজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়। এজন্য তাদের দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গৃহীত কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা প্রস্তুতি ও অন্যান্য কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সুবিধা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মতভাবে বৃদ্ধি ও কার্যকর করার লক্ষ্যে তাদের সুপারিশমালা তৈরি করতে বলা হয়। পাশাপাশি তাদের কভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জাতীয় প্রস্তুতির সঙ্গে সংগতি রেখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করতেও বলা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বিশেষজ্ঞরা সবাই যেহেতু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সেহেতু তাদের সম্মিলিতভাবে দেশের করোনা পরিস্থিতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রক্ষেপণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার সম্ভাব্য উপায় এবং সম্ভাব্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পর্কে পরামর্শ দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত দলটি চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা অধ্যয়ন ও পর্যালোচনার মাধ্যমে এ কারিগরি নির্দেশনাটি প্রণয়ন করেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি অফিসগুলোয় প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকারী টানেল স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। অফিস চালুর আগে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ, আঙিনা ও রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার বা থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অফিসের পরিবহনগুলো অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পরিক শারীরিক দূরত্ব ন্যূনতম তিন ফুট বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাত্রার আগে ও যাত্রাকালীন পথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব ন্যূনতম তিন ফুট বজায় রাখতে হবে। প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে। অফিসে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

এছাড়া মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সার্জিক্যাল মাস্ক বা তিন পরত স্তরবিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে। সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার ব্যবহার করা যাবে, কাপড়ের মাস্কের ক্ষেত্রে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা, তা মনিটরিং করতে হবে। ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

নির্দেশনায় কোনো কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাত্ক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।