ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত বীর শহীদ পরিবার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

ইতিহাসের ঐতিহ্যের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। সেই দেশের কৃতি সন্তান কুমিল্লা জেলার বরুড়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বীর শহীদ হাবিলদার আব্দুল মতিন। ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর ঢাকায় সেনা বাহিনীতে ওয়ারলেস্ সিগন্যাল ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত অবস্থায় পাক হানাদারদের হাতে তিনি শহীদ হন।

তখনকার সময় পূর্ব পাকিস্থান (বাংলাদেশ) এবং পশ্চিম পাকিস্থানের সাথে যোগাযোগ হতো এই সিগন্যালের মাধ্যমে। জানা যায়, তখন পশ্চিম পাকিস্থানের পক্ষ হয়ে আমেরিকার চতুর্দশ নৌ-বহর এবং বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে রাশিয়ার সপ্তম নৌ-বহর যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসছে। তৎকালীন বাংলাদেশে কর্মরত অবস্থায় সেনাবাহিনীর প্রধান মিয়াজি ইয়াহিয়া খানের নিকট ওয়ারল্যাসের মাধ্যমে বলেন,বর্তমান যে পরিস্থিতি আমাকে বাঙ্গালীদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তখন ইয়াহিয়া খান বলেন সেনা প্রধান মিয়াজিকে আপনি ধৈর্য্য ধরেন। খুব শ্রীঘ্রই যুদ্ধের জন্য আমাদের চতুর্দশ নৌ-বহর বাংলাদেশে এসে পৌছে যাবে এবং যুদ্ধ চলবে। সেই সময় দায়িত্বরত ওয়ারলেস ইনচার্জ বাংলাদেশের হাবিলদার আবদুল মতিন ভাবলেন তাহলে আমার এই মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়তো আর হবে না। তাই ভেবে নিজ ইচ্ছায় ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সকল ওয়ারল্যাস সিগন্যালের ক্যাবল কেটে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। তা বুঝতে পেরে সেখানে থাকা পাক বাহিনীর সেনারা তাকে সাথে সাথে গুলি করে হত্যা করেন।

যার লাশ আজ পর্যন্ত তার পরিবার ফিরে পায়নি ,এখনো অপেক্ষায় আছে তার বৃদ্ধা মা। শহীদ হাবিলদার আবদুল মতিন হয়তো ভাবেননি তাহার এই নির্মম মৃত্যুর ৪৮ ঘন্টা পরেই ১৬ই ডিসেম্বর দেশে স্বাধীনতার বিজয় মিছিলের উল্লাস হবে। এমন একটি বিজয়ের জন্য শহীদ হলেও তার পরিবার দেশ থেকে কোন প্রকার অনুদান ও সহযোগিতা পায়নি। অথচ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় গেজেট ১৩১৮ নাম্বার শহীদ হাবিলদার আব্দুল মতিনের নাম থাকা স্বত্ত্বেও বরুড়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা অফিস থেকে কোন প্রকার সাহায্য সহায়তা পায়নি তার পরিবার। তার অসহায় মায়ের দেখা শোনা করেন তার মামা সমাজ কর্মী আব্দুল মালেক।

বরুড়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ শামসুল হকের উপস্থিতিতে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজে পরে শহীদ হাবিলদার আব্দুল মতিনের পরিবার,দোয়া ও মাহফিলের মাধ্যমে তাহার রূহের মাগফেরাত কামনা করেন।