ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান তদারকিতে মনিটরিং টিম

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২০  

দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান তদারকিতে মনিটরিং টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। 

গত ৩১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রশাসন-১ অধিশাখার যুগ্মসচিব শাহিনা খাতুন স্বাক্ষরিত একটি আদেশে মনিটরিং টিমের কর্মপরিধি উল্লেখ করা হয়। এছাড়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবহিতকরণে মন্ত্রণালয়ের এ আদেশটি সংশ্লিষ্ট সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বরাবর পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বেলাল হোসেনের স্বাক্ষরে গত ৭ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত চিঠিও ইস্যু করা হয়। 

সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে হাসপাতালে সেবার মানোন্নয়ন, সেবা প্রাপ্তি সহজীকরণ, নিরাপদ ও টেকসই কর্মপরিবেশ সৃষ্টি তথা জনসাধারণকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এই মনিটরিং টিম গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশে। 

জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের ৪৩ কর্মকর্তা মনিটরিং টিমের সদস্য হিসেবে সারাদেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকি করবেন। ২৪টি টিমে ভাগ করে এসব কর্মকর্তাকে বিভাগ ও জেলাভিত্তিক পৃথকভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

অতিরিক্ত সচিব পদ মর্যাদার আট কর্মকর্তাকে পৃথক বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর যুগ্মসচিব, উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবদের টিম হিসেবে জেলাভিত্তিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অধিশাখা) গঠিত এসব মনিটরিং টিমের সমন্বয় করবেন। মনিটরিং টিমগুলোকে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সফরের পূর্বে ও পরে সমন্বয়ের দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন অধিশাখা) অবহিত করতে হবে। 

অতিরিক্ত সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তারা প্রতিবেদন দিবেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবকে। প্রতিমাসে ন্যূনতম একটি জেলা সফর করে ওই জেলার হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দাখিল করবেন তারা। 

মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বন্টন অনুযায়ী- চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ তদারকির দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত সচিব (বাজেট)। আর চট্টগ্রাম জেলার প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্ব পেয়েছেন যুগ্মসচিব (মনিটরিং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান), যুগ্মসচিব (অটিজম সেল), উপসচিব (ক্রয় ও সংগ্রহ) এবং উপসচিব (মেরামত)।

মনিটরিং টিমের কর্মপরিধির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে- প্রত্যেক টিম প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলাসমূহের যেকোনো হাসপাতাল সরেজমিনে পরিদর্শন করবে। হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি পর্যালোচনা করবে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার সঠিক কারণ অনুসন্ধান করবে এবং এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রশাসন অনুবিভাগে প্রতিবেদন দিবে। বায়োমেট্রিক হাজিরার যন্ত্র চালু আছে কি না এবং কর্মরত চিকিৎসকগণ বায়োমেট্রিক যন্ত্র ব্যবহার করেন কি না, তা যাচাই করবে। 

পরিদর্শনকালে হাসপাতালসমূহের অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থা বিশদভাবে পর্যালোচনাপূর্বক তা প্রতিবেদনে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে মনিটরিং টিমকে। হাসপাতাল প্রাঙ্গণ, হাসপাতাল ভবনের প্রবেশপথ, বহিরাঙ্গণ, করিডোর, ইনডোর, আউটডোর, ওটি, ওয়ার্ড, শৌচাগার, ডাক্তার ও নার্সদের আবাসিক ভবন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রভৃতি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও সক্রিয় আছে কি না তা সংশ্লিষ্ট মনিটরিং টিম পর্যবেক্ষণ করবে। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সরঞ্জামাদি এবং হাসপাতালের অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও যানবাহন/অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি সক্রিয় আছে কি না, যথাযথভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, অকেজো যন্ত্রপাতি সচল করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কি না, প্রয়োজন অনুযায়ী যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে কি না, প্রভৃতি বিষয় পরিদর্শন টিম যাচাই করবে। 

হাসপাতালে সরবরাহকৃত ওষুধ যথাযথভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না, মনিটরিং টিমকে তা যাচাই করতে হবে। একইসঙ্গে ওষুধের স্টক রেজিস্টার ও বিতরণ রেজিস্টার মিলিয়ে দেখতে হবে। পরিদর্শনকালে কর্মপরিধির বাইরে উল্লেখযোগ্য কোনো বিষয় গোচরীভূত হলে তা মনিটরিং টিমকে প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে বলেও মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে।