ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২০  

দাউদকান্দি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের প্রবাসী খাজা উদ্দিন আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে সাব-রেজিস্ট্রার অর্থের বিনিময়ে খতিয়ানবিহীন ভুয়া মালিক সাজিয়ে দলিল করার লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গয়েশপুর গ্রামের তালেব আলী তার ছেলে খাজা উদ্দিনকে ২০১৪ সালে ৬১৫নং খতিয়ানের ৩২৬বিএস দাগের ১৭ শতকের অন্দরে সাড়ে আট শতক বাড়ি হেবা দলিলের মাধ্যমে দান করেন। যা দাউদকান্দি সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল নং-৪৮৪৩।
একই দাগে উল্লেখিত পরিমাণ জায়গা ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে সাবরেজিস্টারকে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ২০১৯ সালে ভুয়া দলিল করেন খাজা  উদ্দিনের ভাই বিল্লাল হোসেন।

দলিল দাতা বারপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের জনৈক ধন মিয়ার স্ত্রী জমিলা খাতুনের নাম উল্লেখ করা। দাউদকান্দি সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল নং-৪২৭৭।

ভুক্তভোগী খাজা উদ্দিন বলেন, আমার বাবা ২০১৪ সালে দলিলের মাধ্যমে আমাকে দান করে গেছেন। ২০১৯ সালে ভুয়া দলিল করে জোরপূর্বক বিল্লাল হোসেন দখল করে নেন। এমন খবর শুনে আমি ওমান থেকে দেশে আসি। কাগজপত্র তুলে দেখি সব জাল দুই নম্বর। বিভিন্ন মহলে ঘুরে সমাধান না পেয়ে জুলাই মাসে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছি। এখনো পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি।

সাব রেজিস্ট্রার আহসান হাবীব বলেন, দলিল করার সময় সব কাগজপত্র দেখার সময় থাকে না। ভেন্ডাররা সঠিক কাগজপত্র দেখে দলিল লিখবে। এখানে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে ভেন্ডার দায়ী। তারপরও আমি বলেছি ঠিক করে দেব। অভিযোগ করে শুধু শুধু আমার বদনাম ছড়াচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম খান বলেন, আমি কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। একটা দলিলের ব্যাপারে শুনেছি যে, দলিলটি সম্পাদনে যথাযথ কাগজপত্র অনুসরণ করা হয়নি। এ বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রারকে বলেছিলাম কাগজপত্র দেখে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য। যদি সাব-রেজিস্ট্রার সাহেব কোনো প্রকার সুবিধা নিয়ে কাউকে সেবা দেয়া বা হয়রানি করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়, আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। আর সাব-রেজিস্ট্রারের ব্যাপারে আমিও লোকমুখে নানা কথা শুনি।

কুমিল্লা জেলা রেজিস্ট্রার আনোয়ারুল হক চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে ।