ব্রেকিং:
মোবাইল ব্যাংকিং: ২২ কোটি গ্রাহকের লেনদেন ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ইসরায়েলে হামলার পর বাইডেনকে ফোন দিলেন নেতানিয়াহু ৩১ দিন পর বাংলাদেশি সেই ২৩ নাবিক মুক্ত তরুণ-তরুণীর ধস্তাধস্তির ভিডিও ভাইরাল, কারা তারা? তরমুজের গায়ে এবার ‘মৌসুম শেষের’ হাওয়া, বেড়েছে দাম চালক-সুপারভাইজারের মৃত্যু নিয়ে গল্প সাজিয়েছেন হেলপার: পুলিশ এবার কুকি-চিনের সহযোগী লাল বম গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ৫০ বস্তা চিনিসহ আ.লীগ নেতা আটক কেএনএফের ৩ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪ ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড় সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার প্রকাশ, ধনীদের তালিকায় বাংলাদেশের আজিজ খান ইতালি থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সম্মাননা পেলেন ৫ বাংলাদেশি বিএনপির ‘বয়কট ভারত’ আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস ভাড়া কমিয়ে প্রজ্ঞাপন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে জামায়াতের অনুসারী বেশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কুমিল্লা উত্তর জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড কয়েকটি গ্রাম মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশ: অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সিট বাতিল
  • বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

স্কুলে যায় ৯৮ ভাগ শিশু

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যের বই। উপবৃত্তির অর্থ পৌঁছে যাচ্ছে মায়ের হাতে। এরইমধ্যে চালু হয়েছে ‘মিড ডে মিল’ প্রোগ্রাম। সরকারের এতোসব পদক্ষেপের কারণে প্রাথমিকে বেড়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বর্তমানে প্রায় ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যায়। একইসঙ্গে কমেছে ঝরে পড়ার হারও। 

জানা গেছে, ১৯৭২ সালে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার হার ছিল ৫১ ভাগ। আর বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৯৫ ভাগ। ভর্তির হার বাড়ানোর পাশাপাশি ঝরে পড়া রোধেও সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ঝরে পড়ার হার ১৭ দশমিক ৯ ভাগ। যা ২০০৫ সালে ছিল ৪৭ আর ২০১৫ সালে ছিল ২০ ভাগ। ২০২৪ সালের মধ্যে ঝরে পড়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, এবার ২০২০ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৪ কপি বই বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকের জন্য বিতরণ করা হয়েছে ৯ কোটি ৮৫ লাখ পাঁচ হাজার ৪৮০ কপি বই। নতুন বছরের প্রথম দিন সারাদেশের শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও বছরের প্রথম দিন নতুন ও ঝকঝকে বই হাতে পেয়ে আনন্দিত। 

এদিকে, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় কোটি শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে প্রতিমাসে ১০০ টাকা করে উপবৃত্তি দেয়া হয়। উপবৃত্তির টাকা যাতে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পায় সে জন্য রূপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মায়ের হাতে এ টাকা তুলে দেয়া হয়। বিদ্যালয়গুলো অভিভাবক সভা করে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করে।

উপবৃত্তির অর্থ ছাড়াও মুজিববর্ষ থেকেই শিশুদের শিক্ষা সহায়ক উপকরণ কেনার জন্য অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে দেয়া হবে। দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী এই সুবিধা পাবে। 

অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এরইমধ্যে চালু হয়েছে মিড ডে মিল। মুজিববর্ষে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা এরইমধ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাসরুম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এরইমধ্যে দেশের প্রায় ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ের ৫৩ হাজার ৬৮৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১টি করে ল্যাপটপ এবং ২২ হাজারের বেশি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ করা হয়েছে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কারণে প্রাথমিকে ভর্তির হার অনেক বেড়েছে। এছাড়া কমেছে ঝরে পড়ার হারও। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে স্কুলে যাওয়ার হার ৯৭ দশমিক ৯৫ ভাগ। আর ঝরে পড়ার হারও অনেক কমে এসেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ঝরে পড়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনাটাই আমাদের লক্ষ্য। এ নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যের বই বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ ও প্রতিটি শিক্ষার্থীর মায়ের হাতে উপবৃত্তি বাবদ অর্থ তুলে দেয়া হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, সারাদেশের শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরও বিদ্যালয়ে অবস্থান নিশ্চিত করতে অ্যাসিস্টিভ ডিভাইস বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে সরকার সচেষ্ট। সে কারণেই প্রতিবছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই ও উপবৃত্তির টাকা দেয়া হয়। এর বাইরেও প্রতিবছরের শুরুতে এককালীন ৫০০ টাকা করে দেয়া হবে। সবমিলিয়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।