স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আটজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০’ প্রদান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এর আগে, সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় দুজন মরণোত্তরসহ ৮ ব্যক্তি ও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, চিকিৎসাবিদ্যা, সংস্কৃতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছরের ‘স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ২০২০’-এ ভূষিত করে।

এ বছর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), প্রয়াত কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ, প্রয়াত মুহম্মদ আনোয়ার পাশা ও আজিজুর রহমান। চিকিৎসাবিদ্যায় পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুক্তাদির। সংস্কৃতিতে পুরস্কার পেয়েছেন কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার। এছাড়া শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস স্কুল।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পরিচালনা করেন এবং পুরস্কার বিজয়ীদের জীবন বৃত্তান্ত পড়ে শোনান। এতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, এমপি, মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিএমও সচিব তোফাজ্জ্বল হোসের মিয়া, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ পিএমও এবং গণভবনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করে।

স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ পদক, সনদপত্র এবং ৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার প্রদান করে আসলেও আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে পুরস্কারের অর্থের পরিমান বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। তবে এ বছর করোনাপরিস্থিতির কারণে যথাসময়ে অনুষ্ঠানটি হতে পারেনি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১৩ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।