স্বামীর মারধরে হাত ভেঙে যায় শবনম ফারিয়ার

গত বছরের নভেম্বরে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু বিচ্ছেদের নেপথ্যে কারণ জানা সম্ভব হয়নি। শোবিজে গল্প ছড়িয়েছে নানা রকম। সেসব গল্পে মসলা ছিল, কিন্তু প্রমাণ ছিল না।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইলমার নির্যাতনের কারণে মৃত্যু প্রসঙ্গে অনেক আলোচনা শুরু হয়েছে। যার সমব্যথী লোপা সুলতানা, শবনম ফারিয়ার মতো গায়িকা-অভিনেত্রীরা। এই সময়েই, অর্থাৎ বিচ্ছেদের প্রায় এক বছর পর সাবেক স্বামী হারুনুর রশীদ অপুর বিরুদ্ধে ‘নির্যাতনের’ অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।

ফারিয়া লিখেছেন, ‘মৃত মেয়েটার ছবি দেখার পর বার বার আমি দেড়/দুই বছর পেছনে ফিরে যাচ্ছিলাম। মনে পড়ছে কীভাবে আমি দেবী সিনেমার পুরো প্রমোশন ভাঙা হাত নিয়ে করেছি, যখন কেউ জানতে চেয়েছি কী হয়েছে, বলেছিলাম সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যথা পেয়েছি! আমার সাহস ছিল না সবাইকে বলার যে কীভাবে ব্যথা পেয়েছি! কারণ আমি জানতাম এই মানুষটার সঙ্গেই থাকতে হবে, নাহলে মানুষ কী বলবে! আমার মা সমাজে মুখ দেখাবে কীভাবে! আমার দুই বোন যে স্বপ্ন নিয়ে এতো আয়োজনের প্ল্যান করছে তাদের কী জবাব দিবো!’

 

শবনম ফারিয়া ও হারুনুর রশীদ অপু। ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও লেখেন, ‘কাবিনের ৩ মাস না যেতেই এতো কিছু! নিশ্চয়ই সমস্যা আমারই! আমি এইটা ভেবে দিনের পর দিন জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে, রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি! বার বার ভেবেছি কিছু হলে সবাই আমাকেই খারাপ বলবে! কিন্তু আমি খুব সৌভাগ্যবান যে আমার মা আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে! সাহস দিয়েছে! বুঝিয়েছে মানুষ কী বলে তার চেয়ে নিজের ভালো থাকা আরও অনেক জরুরি! জোর করে বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেয়ে বেঁচে থাকা আরও জরুরি!’

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে হারুনুর রশীদ অপুর সঙ্গে আংটি বদল করেন শবনম ফারিয়া। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হয় তাঁদের। বিয়ের ঠিক ১ বছর ৯ মাসের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয় তাদের। তখন ফারিয়া বিচ্ছেদের বিষয়ে স্পষ্ট করে কাউকে কিছুই বলেননি। সাবেক স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে কোনো তিক্ততা নেই বলে জানিয়েছিলেন তিনি।