ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিবাজদের ধরতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২০  

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিবাজদের ধরতে দুদক জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। একই সঙ্গে হতদরিদ্রদের ও সরকারি গুদামের চাল আত্মসাতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই দু'টি খাতের দুর্নীতি অনুসন্ধানে একধিক শক্তিশালী টিম অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি ও সরকারি চাল আত্মসাতের বিরুদ্ধে দুদকের গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ইকবাল মাহমুদ ওই কথা বলেন।

দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর স্বাক্ষর করা ওই প্রতিবেদনটি চেয়ারম্যানের কাছে পেশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিম্ন মানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয় ও সেগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দ্রুততার সঙ্গে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এই অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের সংশ্নিষ্টতার তথ্য-প্রমাণও মিলেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত তিন মাসে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণে দুর্নীতি, সরকারি খাদ্য গুদামের চাল, গম আত্মসাত ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২৩টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো তদন্তে কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের অনেককেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ অনুসন্ধান তদন্তের সঙ্গে যুক্ত সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশেই দুদককে আইনি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে দুদকের দুইজন কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এখনও ১৫ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী চিকিৎসাধীন রয়েছে। অনেকের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত। আমি তাদের সকলের রোগমুক্তি কামনা করছি।' সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কমিশনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এই খাতের দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে কমিশন বেশকিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কমিশন ২০১৭ সালেই স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছিল। ২০১৯ সালের শুরুতে এই খাতের দুর্নীতির ১১টি উৎস্য চিহ্নিত করে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে ২৫ দফা সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের কাছে হস্তান্তর করেছেন। দুদকের তৈরি ওই পূর্ণাঙ্গ প্রতিদেনটি বাস্তবায়ন করা গেলে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হতো।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগটির অনুসন্ধান হতে হবে নির্মোহ ও পূর্ণাঙ্গ। জনগণকে সবকিছু জানাতে হবে। দুদক কোনো কিছুই গোপন করে না, করবেও না। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও দালিলিক প্রমাণাদির মাধ্যমে যেমন অপরাধীদের আইন আমলে আনতে হবে। তেমনি জনগণের কাছেও কমিশনকে জবাবদিহি করতে হবে। কারণ জনগণের এই প্রতিষ্ঠানটি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, আর্থিক সংশ্লেষ কম হলেও ত্রাণ আত্মসাতের মামলাগুলোতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিখুঁতভাবে মামলাগুলোর তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই প্রকৃত অপরাধীরা যেন পাড় না পায়।