সড়ক দুর্ঘটনা নয়, ছিনতাইকারী চক্রের হাতে খুন হন সৈকত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের হাতেই খুন হয়েছেন মোক্তার হোসেন সৈকত। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার দেওপাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে।

প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে থানায় মামলা হলেও পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে ১৬ দিনের মধ্যে এ হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে। এ ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

তারা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার নোয়াবাদ গ্রামের আবুল হাসনাত ওরফে তারেক, দক্ষিণ শর্শদি গ্রামের সৈয়দ হাফিজুর রহমান সাইফুল ও লাকসাম উপজেলার বাতাখালী গ্রামের মো. রাসেল। হত্যার দায় স্বীকার করে তারা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।

শনিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জেলা পিবিআই প্রধান ও অ্যাডিশনাল এসপি মো. ওসমান গনি।

 

 

তিনি জানান, ২১ জানুয়ারি ভোরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিরশ্বানী বাজার এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা ছিল এটি সড়ক দুর্ঘটনা। তবে ঘটনাটির আলামত দেখে ভিন্ন কিছু সন্দেহ হয় পিবিআই, কুমিল্লার সদস্যদের। এ ঘটনাটি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করেন তারা।

তিনি আরো জানান, নিহতের বাম হাতের কবজিতে কাটা দাগ দেখে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধরে নিয়ে তদন্ত চালায় পিবিআই। এরপর পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ১৬ দিনের মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানান, তারা মহাসড়কে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তারা একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে বের হন। ওই রাতে তারা ফেনী থেকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার পর্যন্ত মহাড়কের কয়েকটি স্থানে টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করেন। ফেনী ফেরার পথে রাত দেড়টায় চৌদ্দগ্রামের মিরশ্বানী বাজার এলাকায় সড়কের পাশে সৈকতকে হাঁটতে দেখে প্রাইভেটকারে তুলে নেন তারা। পরে তাকে মারধর করে মোবাইল ও টাকা কেড়ে নিয়ে সড়কে ফেলে গাড়ি চাপা দেন। এতে ঘটনাস্থলেই সৈকত নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুমন মিয়া রিপন চৌদ্দগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন।