ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

‘হক্কলে শুধু মুখোশ আর ওষধ দেয়, খাওন দেয় না’

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২০  

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে মারা গেছেন প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। এ ভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন করা হয়েছে। বাংলাদেশেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে অফিস, আদালত, দোকানপাট ও যানচলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রথমে পাত্তা না দিলেও এখন বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে, ঘরে থাকাই করোনা থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেছে। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় সবকিছু বন্ধ থাকায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। নগরীর পল্টন, কাকরাইল, তেজগাঁও, মহাখালী, গুলশান, কচুক্ষেত ঘুরে এ দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু এতে বিপদে পড়ে গেছেন দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাওয়ালারা। রাস্তায় মানুষ না থাকায় রিকশাওয়ালারা যাত্রী পাচ্ছেন না। আয় না হলে তাদের সংসার চলবে কীভাবে?

 

 

এমনই এক রিকশাচালকের সঙ্গে কথা হয়। কান্না জড়িত কণ্ঠে আক্ষেপে বলে ফেলেন, আমি করোনারে ডরাই না আমি খিদারে ডরাই। এখন রাস্তায় মানুষ বের হয় কম সারাদিনে আমি যে টাকা রিকশা চালিয়ে পাই তা দিয়ে চাল কিনতে পারবো না, পারবো না ডাল কিনতে, পারবো না আমার ছোট মেয়েটার জন্য ঔষধ কিনতে! আমাদের তো করোনা হবে না আমাদের হবে না খেয়ে থাকার রোগ।

আরেক রিকশাচালক বলেন, স্যার, পেট-পিঠতো দেশের অবস্থা বুঝে না। রিকশা না চালালে খাবো কি? বাচ্চা-কাচ্চা (বউ-বাচ্চা) তো না খেয়ে মরবে। হক্কলে খালি মুখোশ আর হাতধোয়ার ওষুধ দেয়, পেটে দেয়ার মতো খাবার তো কেউ দেয় না।

এদিকে দেশের এমন পরিস্থিতিতে দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাওয়ালাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সরকারি-বেসরকারি বেশকিছু সংগঠন। এমনকি সমাজের বিত্তবানেরাও এগিয়ে এসেছেন। সম্মিলিত সহযোগিতায় করোনার কারণে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সবাই। বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করা হচ্ছে।