ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

হাইওয়ে রেস্তোরাঁগুলোতে ‘গলা কাটা’ হচ্ছে যাত্রীদের

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

বাসের স্টাফরা এই রেস্তোরাঁগুলো ছাড়া অন্য কোথাও যাত্রা বিরতি না করায় বাধ্য হয়ে চড়া মূল্যেই খাবার কিনতে বাধ্য হন যাত্রীরা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার প্রায় ১০৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে শতাধিক হাইওয়ে রেস্তোরাঁ। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে যাত্রীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত দাম রাখার অভিযোগ রয়েছে।

এর পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশনের অভিযোগও রয়েছে এসব রেস্তোরাঁগুলোর বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময়ে জরিমানা করা হলেও অনিয়ম কমছে না বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

জানা যায়, কুমিল্লার এই হাইওয়ে রেস্তোরাগুলোতে নিয়মিত যাত্রা বিরতি করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের বিভিন্ন বাস ও অন্যান্য পরিবহনগুলো। দীর্ঘ যাত্রার মাঝে নিজেদের প্রয়োজনগুলো এখানেই সারেন যাত্রীরা। তবে, এই সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য রাখার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার অর্ধেকেরও বেশি হাইওয়ে রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে।

বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাসমালিক ও চালকদের সাথে চুক্তি থাকে এই রেস্তোরাঁগুলোর। চুক্তি অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির বাস একটি নির্ধারিত রেস্তোরাঁতে যাত্রা বিরতির জন্য থামে। বিনিময়ে বাস চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে থাকে রেস্তোরাঁগুলো। এর পাশপাশি যাত্রীবাহী কোচের স্টাফদের দেওয়া হয় কমিশন। আর এই কমিশনের টাকা তুলতে চড়া দাম নিয়ে যাত্রীদের “গলা কাটা” হয় রেস্তোরাঁগুলোতে।

যাত্রীদের অভিযোগ, এসব রেস্তোরাঁগুলোতে ৫ টাকা দামের পরাটার মূল্য ধরা হয় ১০ টাকা, এক কাপ চায়ের দাম রাখা হয় ৩০ টাকা। শুধু তাই নয়, রেস্তোরাঁগুলোতে বিভিন্ন জিনিসের অতিরিক্ত মূল্য সম্বলিত তালিকাও টাঙিয়ে রাখা হয় যাতে যাত্রীরা কোনও প্রশ্ন তুলতে না পারেন।

ফেনী থেকে আসা যাত্রী নূর নবী বলেন, “এই রেস্তোরাঁগুলো ছাড়া অন্য কোথাও যাত্রা বিরতি না করায় বাধ্য হয়ে চড়া মূল্যেই খাবার কিনতে বাধ্য হই আমরা। এটা নিয়ে প্রশাসনের নজরদারী প্রয়োজন।”

কুমিল্লার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, গত ৩ বছরে বেশি দামে খাবার বিক্রি ও নোংরা পরিবেশের জন্য অর্ধশতাধিক রেস্তোরাঁকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে, এমন রেস্তোরাঁও আছে যেগুলোকে একাধিকবার একই অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে।

কুমিল্লা জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম  বলেন, “বেশি দাম রাখার অভিযোগ পেলে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয় অভিযুক্ত রেস্তোরাঁকে। হাইওয়ে রেস্তোরাঁগুলো আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। অভিযোগ আসলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”