ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সিদ্দিকী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলে সেটা কলঙ্কজনক হবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিজিবি
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় করেন অস্ত্রোপচার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০  

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নুরজাহান অর্থোপেডিক্স হাসপাতালে রোগীর অস্ত্রোপচার করতেন হাসপাতালটির ওয়ার্ডবয় জাহাঙ্গীর হোসেন। র‌্যাবের অভিযানে এ হাসপাতালের ফ্লোরে রক্ত মাখা কাপড় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এসব অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও হাসপাতালটির পরিচালক বাবুর হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাব। একইসঙ্গে অভিযান শেষে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

বুধবার রাতভর মোহাম্মদপুর ও শ্যামলী এলাকায় তিনটি হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। এতে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযানে সহায়তা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এদিকে ক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক হাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন এইচএসসি পাস। অথচ তিনি একাধারে হাসপাতালটির পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। রোগীদের ভাঙা হাত-পায়ের এক্স-রে দেখে অপারেশনের সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিতেন। এ হাসপাতালটির অনুমোদনের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে আরো চার মাস আগে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আবুল হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও হাসপাতালটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

অভিযানের শুরুতেই রাজধানীর মক্কা-মদিনা হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। হাসপাতালটির পরিচালক নূর নবীরও কোনো ধরনের চিকিৎসা সনদ না থাকার পরও তিনি রোগী দেখছেন এবং ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। হাত-পা ভাঙাসহ বিভিন্ন গুরুতর আহত যে রোগীরা আসছেন, তাদের অপারেশনের জন্য বিভিন্ন পরামর্শও দিচ্ছিলেন।

এ অপরাধে হাসপাতালটির পরিচালক নূর নবীকে এক বছরের কারাদণ্ডসহ আনোয়ার হোসেন কালু ও তার সহযোগী আব্দুর রশিদকে ছয়মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে মক্কা-মদিনা হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।

অভিযান শেষে পলাশ কুমার বসু বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে আসে। কয়েকটি দালাল চক্র শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর থানার বাবর রোডের এসব হাসপাতালে কম খরচে উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দেখিয়ে রোগীদের ভাগিয়ে আনতেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সম্পর্কে রোগীদের নানা ভুল তথ্য দেয়া।