হেফাজতের লালসালু! সন্ত্রাসীকে শহীদ বানিয়ে মাজার ব্যবসার ধান্দা

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর নিমিত্তে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির চক্রান্তে দেশের বিভিন্ন স্থানে একদল সন্ত্রাসী তান্ডব চালায়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় বাধ্য হয়ে পুলিশকে তখন গুলি চালাতে হয়।

এই গুলিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৪ হেফাজতি জঙ্গি নিহত হয়। অতি সম্প্রতি এই দেশদ্রোহী হেফাজতি নিহত সন্ত্রাসীদের একজনের কবরকে ঘিরে মাজার ব্যবসার ধান্দা শুরু করেছে একদল ধর্মবেশ্যা। ধারালো অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করতে এসে নিহত হওয়া তথাকথিত ‘হাফেজ রবিউল ইসলামের কবর থেকে নূরের আলো দেখা গেছে’ এমনি একটি গুজব সোশাল মিডিয়া ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। 

QAWMI TV নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে ১৫ এপ্রিল আপ্লোড করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নেটে ঘেরা একটি কবরের দৃশ্য। ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের এই ক্লিপে একটা পুরুষ কন্ঠ বলছে যে, স্থানীয় মানুষজন নাকি দাবি করেছে গত শবে বরাতের রাতে এই কবর থেকে আলো দেখা গেছে! অর্থাৎ ভিডিওতে কিছুই নেই। এক পুরুষ কন্ঠের স্থানীয় জনসূত্রে দাবি। এই হাস্যকর, অসত্য, মিথ্যে ও বিভ্রান্তিভরা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সেই ক্লিপের অসংখ্য মানুষ ব্যাপারটিকে শিরকের সাথে তুলনা করেছেন। একজন হাসতে হাসতে লিখছেন ‘এ যেন হেফাজতের লালসালু’।
অন্যদিকে অপপ্রচারে বিভান্ত হেফাজতি অন্ধ সমর্থকদেরও এখানে কমেন্ট করেছে। এবং কয়েকজন সোজাসুজি দেশ বিরোধী কমেন্টও করেছে। বাংলাদেশের সচেতন, বিজ্ঞানমনস্ক এবং স্বাধীনচেতা মানুষ, ধর্ম ব্যবসায়ীদের এ জাতীয় অপপ্রচার থেকে জনগণকে সাবধান থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, নিহত হেফাজতি সন্ত্রাসী তথাকথিত হাফেজ রবিউল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায়। তার কবর নিয়ে এমন গুজব ছড়ানো হলেও রবিউলের পরিবার এ বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে জানিয়েছে