ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

হোমনা পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি ২০২১  

কুমিল্লার হোমনা পৌরসভার মেয়র ও হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পানি শোধনাগার স্থাপনের জন্য জায়গা কেনার নামে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা। একইসঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে হোমনা পৌর মার্কেটের দোকান বরাদ্দে সরকারি মূল্যের চেয়েও বেশি দামে দোকান বরাদ্দের অভিযোগ রয়েছে। কোনো ধরনের টেন্ডার ছাড়াই স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিকট আত্মীয়দের নামে দোকানপাট বরাদ্দ দেয়া হয়। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন পৌরসভার শ্রীমদ্দি এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল খালেক।


জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন মো. নজরুল ইসলাম। দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৭ সালের ১লা জুন হোমনা পৌরসভার বাগমারায় পানি পরিশোধনাগার প্রকল্প স্থাপনের জন্য তিনটি দাগে ৩৯ দশমিক ৫০ শতক জায়গা কেনেন। এছাড়া ১২ দশমিক ২৫ শতক করে দু’টি জায়গা ৯০ বছরের জন্য কেনা হয়। ১৫ শতক জায়গা সাব-কবলা করে নেয়া হয়।হোমনা পৌরসভার পক্ষে মেয়র মো. নজরুল ইসলাম ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ওই জমি কেনেন। কিন্তু হোমনা পৌরসভার ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেটের পৃষ্ঠা নং ১৭ এর ৭নং ক্রমিকের ব্যয়ের খাত (ণ) এর জমি ক্রয় আয়বর্ধক কলামে ব্যয় দেখানো হয় ৮৬ লাখ টাকা। এই ক্ষেত্রে জমির টাকার বাইরে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বেশি বরাদ্দ দেখানো হয়।


এদিকে, জমি কেনায় দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গত ২৯শে ডিসেম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের কাছে অভিযোগ করেন পৌরসভার শ্রীমদ্দি এলাকার আবদুল খালেক। এতে তিনি তদন্ত করে দুর্নীতি উদঘাটনের দাবি জানান।


এ ব্যাপারে আবদুল খালেক বলেন, ‘পৌরসভা জমি কিনবে সাব-কবলা। এই ক্ষেত্রে দু’টি দাগে ৯০ বছরের জন্য জমি ক্রয় দেখানো হয়। এটা তো হতে পারে না। এই অনিয়মের তদন্ত করার জন্য আমি অভিযোগ করেছি।’


অভিযোগ প্রসঙ্গে হোমনা পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জমি কেনাবেচায় কোনো অন্যায় করিনি। আমি কোনো অন্যায় করিনি। সামনে নির্বাচন হবে, দলের একটি পক্ষ এটা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।


দুদকের উপ-পরিচালক হেলাল শরিফ ছুটিতে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি মোবাইল ফোনও ধরছেন না। তবে দুদকের দায়িত্বশীল এক সূত্র বলছে, কোনো অভিযোগ এলে আমরা সেটি যাচাই-বাছাই করে থাকি। জনসেবার কোনো খাতে দুর্নীতি হলে সেটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।