হোমনায় ক্যাবল ব্যবসায়ী হত্যায় চেয়ারম্যান-ভাতিজা প্রধান আসামি

কুমিল্লার হোমনায় ইন্টারনেট ক্যাবল ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা সালাহ উদ্দিন প্রকাশ জহিরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন পাঠান ও তার ভাতিজা মোকবল পাঠানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

শনিবার নিহতের বড় বোন পারুল আক্তার বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে ২৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ দিনের বেলা উপজেলা সদরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। হত্যার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। সবাই পলাতক রয়েছেন। এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

স্থানীয় সূত্র মতে, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জহির প্রকাশ সালাহউদ্দিন একই ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর গ্রামের মো. রেনু মোল্লার ছেলে।

থানা ও মামলার বিবরণে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে তেভাগিয়া বেইলি ব্রিজের ওপর কতিপয় সন্ত্রাসী স্থানীয় ক্যাবল ব্যবসায়ী মো. জহির প্রকাশ সালাউদ্দিনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঐ সময় তিনি রামকৃষ্ণপুর বাজার থেকে ঘনিয়ারচর গ্রামের নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যায়। চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পরপরই রাত ১২টার সময় তিনি মারা যান জহির। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মৃত জহির প্রকাশ সালাউদ্দিনের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। শেষে তাহার নিজ গ্রাম ঘনিয়ারচরের পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়।

এ ব্যাপারে হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।