ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

হোমনায় জহির হত্যা মামলার স্বাক্ষিকে হত্যার চেষ্টা,গ্রেফতার ২

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩  

কুমিল্লার হোমনায় যুবলীগ নেতা জহির হত্যার পর এবার ওই মামলার স্বাক্ষি ও নিহতের ভাই মো. খায়েরকে প্রকাশ্যে হাতুরী পেটা ও ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় পাঠান বাহিনী প্রধান কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য মুকবল পাঠানকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬জনকে আসামি করে গত ২৩ মে রাতে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর অভিযুক্ত জেলা পরিষদ সদস্য মুকবল হোসেন পাঠান ও আব্দুল হক ওরফে হক সাব নামে ২জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোমনা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
জানা যায়, স্থানীয় আধিপত্য ও রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে গেলো বছরের ১৭ই ফেব্রুয়ারি আসাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. সালাউদ্দিন জহিরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত জহিরের বোন পারুল আক্তার বাদী হয়ে ওই মামলায় বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য মুকবল হোসেন পাঠানকে অন্যতম আসামি করা হয়। বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে ওই মামলাসহ প্রায় ১৬-১৭টি মামলা তার বিরুদ্ধে চলমান রয়েছে জানা যায়। জহির হত্যাসহ কয়েকটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই গত ২৩মে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর বাজারে নিহত জহিরের পিতা রেনু মিয়ার চায়ের দোকানে হামলা চালায় পাঠান বাহিনী।
এসময় নিহত জহিরের ভাই খায়েরকে হামলা করে সুইচ গিয়ার দিয়ে ঘাঁই মেরে ও হাতুরী পেটা করে হত্যা চেষ্টা করে। এসময় অটোরিক্সায় বসে থাকা মো. কামাল নামের এক ব্যক্তি তাকে বাঁচাতে গেলে “পাঠান বাহিনী”র লোকজন তাকেও এলোপাতাড়ি হামলা করে এবং হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে কামাল হোসেনের মুখের ৪টি দাঁত ভেঙে ফেলে। উভয়কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেন।
এই ঘটনায় নিহত জহিরের পিতা রেনু মিয়া বাদী হয়ে মো. মুকবল হোসেন পাঠানকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ্যসহ আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে হোমনা থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
মামলার বাদী রেনু মিয়া জানান, মুকবল পাঠানের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার বাহিনীর লোকজন বোমা-ককটেল ফাটিয়ে এবং দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমার দোকানে হামলা চালায় ও লুটপাট করে। আমার এক ছেলে জহিরকে হত্যা করে এখন আবার আমার ছেলে খায়েরকেও হত্যা করতে চায়। জহির হত্যা মামলা না তুললে যেকোন সময় আমাকে বা আমার পরিবারের লোকজনকে খুন করে ফেলবে প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়। মুকবল পাঠানের বিরুদ্ধে নারী পাচার ও হত্যাসহ ১৬-১৭টি মামলা রয়েছে।
হোমনা থানার ও.সি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা এফআইআর করা হয়েছে। মুকবল পাঠান ও হক সাব নামে ২জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। মুকবল পাঠানের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন ও নারীপাচারসহ ১১টিরও বেশি মামলা আদালতে বিচারাধীর রয়েছে।