১০ সেকেন্ড দম বন্ধ করে করোনা শনাক্ত! রইল আরো ভুয়া তথ্য

করোনাভাইরাস আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না! আর এই সুযোগে অনেক মানুষ গুজব ছড়াচ্ছেন। না জেনে বুঝে সেগুলো আবার ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা ধরনের উপায় বাতলাচ্ছেন। তবে সেগুলো মানুষের ভ্রান্ত ধারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।

১. নাকে স্যালাইনের পানি ব্যবহার করলেই করোনামুক্ত থাকা যায়! এর সত্যতা এখনো জানা যায়নি। তবে কয়েকটি পরীক্ষায় জানা গেছে, নিয়মিত স্যালাইন দিয়ে নাক ধুলে সাধারণ সর্দি দ্রুত সেরে যায়। তবে শ্বাসকষ্টজনিত সংক্রমণ রোধ করতে এটির ব্যবহার দেখা যায়নি।  

২. রসুন খেলে করোনভাইরাস সংক্রমণ রোধ করা যায় এ বিষয়টিও ভ্রান্ত ধারণা। যদিও রসুন একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা শরীরের অনেক রোগই সারায়। তবে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে রসুনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ সর্দি কাশি বা ফ্লু থেকে বাঁচতে রসুন খেতে পারেন।  

৩. মশার কামড়ে করোনা ছড়ায় না। যদি আপনি এতদিন তাই ভেবে থাকেন তবে ভুল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনার সংক্রমণ হাঁচি কাশি এবং স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি মূলত শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস। এটি রক্তের মাধ্যমে ছড়ায় না। তাই মশার কামড়ে করোনা সংক্রমের কোনো ভয় নেই। 

৪. সারা শরীরে অ্যালকোহল বা ক্লোরিন স্প্রে করলে করোনভাইরাসকে মেরে ফেলা যায়। এটিও মূলত একটি ভুল তথ্য। এই জাতীয় পদার্থ স্প্রে করার পর চোখে বা মুখে গেলে আরো ক্ষতি হয়ে পারে।  

৫. ইউটিউব কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে আরো একটি ভুয়া তথ্য। আর তা হলো, সকালে ঘুম থেকে উঠে বুক ভরে শ্বাস নিয়ে ১০ সেকেন্ড দম বন্ধ করে রাখার সময় যদি কাশি হয় তবে তা করোনার লক্ষণ। এটিও একটি ভুল ধারণা।

এজন্য করোনা থেকে বাঁচতে গুজবে কান না দিয়ে সচেতন থাকুন। নিজেকে রক্ষা করতে জেনে নিন কী করবেন- 

>অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত  ২০ সেকেন্ড ঘষে ধুয়ে ফেলুন।  

>ঘরে ফিরে সাবান পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।  

>বেশি করে ফলের রস এবং পানি পান করুন। 

>আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।

>জনাসমাগম ও গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন। 

>সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। 

>ভালোভাবে রান্না করা খাবার খান। 

>কাশি এবং হাঁচি হয় এমন কারো সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন। 

>বন্য বা পোষা প্রাণী ধরার পর ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করুন।